(পূর্ব প্রকাশের পরঃ নক্ষত্রের গোধূলি-৫১ (অধ্যায় ৫)
আমরা বদলে গেছি। আমার সন্তানেরা আজ তালের পিঠা চায় না, নারকেলের লাড়ু চায় না। তারা ক্যাডবেরি, ইগলু আর ম্যাকডোনাল খুঁজে। ডাব কিংবা ঘোলের পরিবর্তে চায় কোক। পাঁচ টাকা দিয়ে আড়াই শ এমএল দুধ না খেয়ে দশ টাকায় এক বোতল কোক বা পেপসি খাবে । এটা হতে পারে, অভ্যাস গত রুচির কারণে। পরিবর্তন এটুকের মধ্যেই সীমিত থাকলে যথেষ্ট হতে পারতো। তা না হয়ে এসব কি হচ্ছে?
চারিদিকে আতশ বাজির ধুম, কান ফেটে যাবার অবস্থা। এদিকে কাউন্সিলের পক্ষ থেকে শহর সাজানো হচ্ছে। রাস্তার মোড়ে মোড়ে রঙ বেরঙ্গের নক্সা, ফুল, ছবি এইসব দিয়ে। রাতের জন্য আলোক সজ্জার ব্যবস্থা হয়েছে। দিনে কিংবা রাতে সারা শহর ঝলমল করছে। সকল দোকান, অফিস, ব্যাঙ্ক সবাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান সাজাবার প্রস্তুতি নিয়েছে। কার চেয়ে কে বেশি সুন্দর করবে প্রতিযোগিতা চলছে। বাড়ি ঘরের মালিকেরাও বসে নেই, নিজ নিজ বাড়ি নানা ডিজাইনের আলো জ্বেলে সাজিয়েছে। বন্ধু বান্ধবী, প্রেমিক প্রেমিকা, স্বামী স্ত্রী সন্তান সন্ততি নিয়ে পুরো পরিবার সহ উৎসব উপলক্ষে রেস্টুরেন্টে পার্টির আয়োজন করছে। কয়েক দিন আগে থেকেই বুকিং দিয়ে রেখেছে, যদি সময় মতো জায়গা না পায় তাই। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বা অফিসের মালিক তার কর্মচারীদের নিয়ে পার্টি দিচ্ছে। প্রতি দিন চার, পাঁচ, আট, দশ বারো জনের পার্টি লেগেই আছে। সবাই ব্যস্ত, দোকানে বেচা কেনার ধুম। যার যা প্রয়োজন কিনে নিচ্ছে। প্রিয় জন কাকে কি উপহার দিতে হবে তা নিয়ে চিন্তা ভাবনা চলছে। বিশেষ করে যারা দূরে থাকে তাদের উপহার ডাকে পাঠাতে হবে তাই ডাক বিভাগ রয়াল মেইল ভীষণ ব্যস্ত।
সেই সাথে রাশেদ সাহেবের কাজের ব্যস্ততাও বেড়েছে। কাজ বুঝে উঠেছে, এখন তেমন কষ্ট হয়না, আগের মত ত্রাসের মধ্যে থাকতে হয়না, বস্তা টানার কাজ করতে হয়না। রেস্টুরেন্টে ব্যবসা হচ্ছে। মালিক খুশি, প্রতিদিনই টেক এওয়ে বা ভিতরে বসে খাবার সংখ্যা বাড়ছে। কিচেনে একজন লোক নেয়া হয়েছে, সামনেও পার্ট টাইম একজন নেয়া হয়েছে। এখন কাজের মধ্যে কোন ভুল ভ্রান্তি তেমন হয়না। কাস্টমার সব বিদায় হবার পর ইস্ত্রি করা শার্ট প্যান্ট টাই পরে জমে থাকা মদের গ্লাস, ছুরি কাটা চামচ ধুয়ে মুছে, টেবিল চেয়ার গুছিয়ে সেটিং করে রেখে, ফ্লোর হুভার করে খেয়ে দেয়ে বাসায় চলে যায়।
ডিউটিতে যাবার আগে গায়ে স্প্রে করা পারফিউমের গন্ধ মুছে গিয়ে ফেরার পথে শরীরে মদের গন্ধ নিয়ে ফিরে। হোক না মদের গন্ধ, তাতে ক্ষতি নেই। সেদিন দেলু বলছিল উহ! ভাই সাহেবের শরীর দিয়ে গন্ধ হয়ে গেছে, খেয়েছেন নাকি একটু? দেলু ভাই যে কি বলেন, আমি খাবার সুযোগ পেলাম কোথায়? আজ পুরো এক ব্যারেল মানে প্রায় নব্বই পাইন্ট ইন্ডিয়ান কোবরা গেছে, রেড ওয়াইন খেয়েছে সাত বোতল, শ্যাম্পেন দিয়েছি দুই বোতল অন্য গুলি তো আছেই। ওই যে সাত জনের এক টেবিল ছিল, সেই টেবিলে একজন খেয়েছে নয় পাইন্ট কোবরা। দেলু যাই বলুক এতে কি আসে যায়? সারা রাত মদের মধ্যে ডুবে থাকি গন্ধ তো হবেই। ময়না ভাই বলেছে ক্রিস্টমাসের এই কয় দিন ছুটি পাবে না, তার পরিবর্তে নগদ নিয়ে নিবেন। রাশেদ সাহেব ভেবেছেন ভালোই হবে, ছুটির এমন কি দরকার? তার চেয়ে যদি কিছু বেশি আয় হয় মন্দ হবে না। ছুটির চেয়ে তার রানির মাথার ছবি ছাপানো স্টার্লিং পাউন্ডের প্রয়োজন বেশি। অনেক বড় টাকা! অনেক মূল্য! যা দিয়ে অনেক অভাব দূর করতে পারবে। যে জন্য দেশ, সন্তান এবং স্ত্রী ছেড়ে এই দেশে এসেছেন সেই প্রয়োজন কিছুটা হলেও মেটাতে পারবেন। আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি আছে তারপর ক্রিস্টমাস।
ময়না ভাই বলল এবার আমাদের রেস্টুরেন্ট ডেকোরেশন করতে হবে। করেন, কি ভাবে করেন আমাকে বলেন কাল দুপুরেই করে ফেলি। ঝাঁর বাতি, আলোক সজ্জার লাইট আগেই তোলা ছিল সেখান থেকে বের করে সেট করা হল। দোকান থেকে একটা ক্রিস্টমাস ট্রি আনা হল। কিছু রঙ বেরঙ্গের ঝিলিমিলি কাগজে নক্সা করা সাজাবার জিনিষপত্র সব কিছু এনে লাঞ্চ টাইমের মধ্যেই সব করা হয়ে গেল। রাতে ডেকোরেশন লাইট জ্বালানো হয়েছে। ক্রিস্টমাস ট্রিটাও লাইটিং করা হয়েছিল সেটা জ্বলছে নিভছে, বেশ সুন্দর একটা পরিবেশ। কাস্টমার আসছে, খাচ্ছে পান করছে, নিজেদের মধ্যে গল্প হাসাহাসি হৈচৈ করছে যাবার সময় বিলের সাথে টিপস দিয়ে যাচ্ছে। ময়না ভাইকে জিজ্ঞেস করলো এই টিপস কি হবে?ওগুলি এই যে এই লাল বাক্সে রেখে দেন। রাতের হিসাবের পরে টিপস গুনে নিয়ে বিক্রির টাকার সাথে মিশিয়ে ময়না ভাই পকেটে ভরে নিয়ে গেল।
ব্যবসায় যতই লাভ হোক না কেন মালিকেরা সাধারণত অনেক টাকা ব্যয় করে ব্যবসা পরিচালনা করে, তাদের সবসময়ই টাকার প্রয়োজন থাকে। টাকার চাহিদা তাদের ছেড়ে কখনো দূরে যেতে পারে না। ব্যবসায় যে যত বেশি টাকা চালান খাটায় তার তত বেশি টাকার প্রয়োজন। টিপসের ঐ টাকা দিয়ে কাল হয়ত লন্ড্রি বিল নয়তো গ্যাস বিল দেয়া যাবে। বিলের হিসাবের বাইরে কাস্টমার যদি খুশি হয়ে কিছু দিয়ে যায় তাহলে এতে তারই অধিকার। সে এত টাকা খরচ করে দোকান সাজিয়ে বসেছে এই জন্যেই তো টিপস দিয়েছে। কর্মচারীরা ভালো সার্ভিস দিয়েছে সেটা তাদের ডিউটি, সেজন্য টিপস পেতে পারেনা। তাদেরকে তো বেতন দেয়া হচ্ছে। বোকা কাস্টমার হয়ত মনে করেছে আহা বেচারা কর্মচারীরা বেতন টেতন পায়না এদের কিছু টিপস দিয়ে যাই।
ময়না ভাই, কোবরা আর কার্লসবার্গ বিয়ারে অতিরিক্ত ফেনা হচ্ছে। আগামী কাল লাইন পরিষ্কার করতে হবে। অনেক দিন করা হয়না।
সব গুলি পরিষ্কার করবেন। আমি দেখিয়ে দিব, লাঞ্চ টাইমে মনে করবেন।
আর শ্যাম্পেন দুইটা ছিল আজ চলে গেছে,
কোনটা?
ময়েট,
ঠিক আছে টিল থেকে টাকা নিয়ে কাল টেসকো থেকে আরও চারটা নিয়ে আসবেন, আর কিছু লাগবে?
কোবরার ব্যারেল শেষ
হ্যাঁ ওটাও মনে করে কাল সাপ্লাইয়ারকে ফোন করে বলে দিবেন, সাইডার আছে?
যা আছে মনে হয় চলবে, ব্যারেল দেখলাম প্রায় ভরা, তবে ডায়েট কোক, অরেঞ্জ জুস আর লেমনেড লাগবে।
ওগুলিও সাপ্লাইয়ারকে বলবেন তিন কেস করে দিতে।
আচ্ছা।
এই ভাবে রাশেদ সাহেব চালিয়ে যাচ্ছেন, চিন্তা করার সময় নেই, সারাক্ষণ ব্যস্ত। দুচার দিন পর রাস্তার পাশের ফোন বুথ থেকে কার্ড দিয়ে বাড়িতে আলাপ করে খোঁজখবর নেন। লাইব্রেরিতে যাবার সুযোগ হচ্ছেনা। প্রথমেই এই ধরনের ব্যস্ততার কারণে কাজ কর্ম বুঝে নেয়া এবং এতে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে সুবিধা হয়েছে। কাজ কর্ম বেশ দ্রুত এগিয়েছে। আস্তে আস্তে ক্রিস্টমাস এসে গেল এবং একদিন তা ফুরিয়ে গেল। রাতে সব কাজ কর্ম শেষ হলে ময়না ভাই বলল আপনার দুই দিন অফ জমেছে তা থেকে কাল অফ নিয়ে নিবেন আর এই নেন এক দিনের টাকা।
ক্রিস্টমাসের পর দিন বক্সিং ডে। বক্সিং ডেতে সব কিছু বন্ধ থাকে সবাই আগের রাতে জটিল রকমের মাতাল হয়ে এই দিন মরার মত ঘুমিয়ে কাটায়। ঘুম ভাঙ্গলে ক্রিস্টমাস উপলক্ষে পাওয়া উপহারের বাক্স খুলতে বসে, এই জন্য এই দিনের নাম বক্সিং ডে। আজ দুপুরে ডিউটি নেই, কোথাও যাবার জায়গা নেই। গত কয়েক দিনের ক্লান্তির কারণে আজ ঘুম ভাঙ্গার পরেও অনেকক্ষণ লেপ গায়ে শুয়েই ছিল। যখন পিঠ আর বিছানায় থাকতে চাইছিলো না আবার পেটেও ক্ষুধার ভাব মনে হল তখন উঠে বরফ জলে কোন রকম মুখ ধুয়ে গরম কাপরে নিজেকে ভালো করে প্যাকয়াপ করে রেস্টুরেন্টের চাবি নিয়ে বের হলেন। ভেবেছিলেন নাস্তা খেয়ে একটু হাটা হাটি করবেন। সিঁড়ি দিয়ে দোতলা থেকে নিচে নেমে দেখে রাস্তা একেবারে শূন্য। কেউ নেই, কিছুই নেই, কোন গাড়ি নেই, সব দোকান বন্ধ। শহরটা যেন লজ্জায় ঘোমটা দিয়ে কোন রকম করে দাঁড়িয়ে আছে। রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে নাস্তা খেয়ে কি করি, ভাবছিলেন। মনে হল সেদিন টেসকোতে যাবার পথে ঢাকার মুন্সি গঞ্জের আখতারের সাথে দেখা হয়েছিলো, টেসকোর পিছনে একটু বাম দিকের একটা রেস্টুরেন্টে কাজ করে। তাহলে যাই একটু দেখে আসি। বের হয়ে আবার তালা দিয়ে আখতারের উদ্দেশ্যে এগিয়ে গেলেন। আখতার ঘুমে ছিল, ডেকে তুলল।
আরে ভাই কি খবর কেমন আছেন?
নিচে লাউঞ্জে নিয়ে গেল বসার জন্য। এই রেস্টুরেন্টে থাকার জায়গা আছে, ইংল্যান্ডের মত নিচে রেস্টুরেন্ট আর উপরে কর্মচারীদের থাকার জায়গা। আখতার রাশেদ সাহেবকে বসিয়ে তার অনুমতি নিয়ে
ভাই একটু বসেন আমি মুখ ধুয়ে আসছি
আসেন
একটু পরে
আখতার টাওয়েল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে এসে বলল
বলেন কি খাবেন কোক না জুস?
দেন একটা হলেই হবে।
আচ্ছা, তাহলে আপনাকে একটা ককটেল বানিয়ে খাওয়াই কি বলেন?
দেন আপনার যা ইচ্ছা।
পাইনেপল জুস আর কোক মিশিয়ে উপরে বরফ কুচি দিয়ে গ্লাস এগিয়ে দিল,
নেন খেয়ে দেখেন কেমন লাগে।
টুকি টাকি খুচরো আলাপ, কবে অফ, মালিক কেমন, থাকার জায়গা কেমন, হিটার আছে কিনা, কর্মচারী কর্মচারী এক জায়গায় হলে যা হয় তাই। রাশেদ সাহেব বললেন
গত দুই সপ্তাহে অফ দেয়নি বলেছিল অফের পরিবর্তে টাকা দিবে।
দিয়েছে?
হ্যাঁ দিয়েছে তবে আজ অফ দিলো আর একদিনের টাকা দিয়েছে, গত রাতেই দিয়েছে।
বলেন কি? আজ অফ দিয়েছে?
হ্যাঁ তাইতো এখানে আসতে পারলাম।
আপনাকে ঠকিয়েছে।
কিভাবে?
আজতো এমনিতেই বন্ধ, এখানে আসার পথে কিছু খোলা দেখেছেন? রাস্তায় কোন মানুষ দেখেছেন?
না তা দেখিনি।
আজ সমস্ত ব্রিটেন বন্ধ। কোথাও কিছু খোলা নেই, কেবল মাত্র হাসপাতালের মত জরুরি কিছু অফিস ছাড়া আর কিচ্ছু খোলা নেই এমনকি কোন বাস কোচ কিছুই চলবে না।
তাই নাকি?
হ্যাঁ আপনি গিয়ে বলেন এটা কি করলেন আমার অফের টাকাটা দিয়ে দেন।
রাশেদ সাহেব সমস্যায় পরলেন, এভাবে কারো কাছে কিছু বলা তার পক্ষে সম্ভব নয়।
না বাদ দেন সে যা চেয়েছে তা করেছে এতে যদি তার কিছু লাভ হয় বেশ তো হোক আমার আর কত ক্ষতি হয়েছে, এতে কিছু মনে না করলেই হল। ক্রিস্টমাসের গিফট দিয়েছে?
সেটা আবার কি?
কেন বুঝেন না?
ক্রিস্টমাসের সময় ভালো ব্যবসা করে যার জন্য স্টাফদের কিছু গিফট দেয়, এরকম সব জায়গায় দেয়, কোথাও তো মানে যারা বেশি বিজি করে তারা রীতিমত পুরো এক সপ্তাহের বেতন দিয়ে দেয়, কেও কাপর চোপর দেয়, যার যা খুশি। যদিও এর কোন ধরা বাধা নিয়ম নেই তবুও কিছু দেয়।
না তেমন কিছু দেয়নি, তবে থাক এটাও দরকার নেই, কারণ এ নিয়ে আমি কিছু করতে এমনকি কিছু বলতেও পারব না। আচ্ছা বাদ দেন এ প্রসংগ এ নিয়ে আলাপ করলে তার মনের সঙ্কীর্ণতা নিজের মনে ঢুকে পরবে, চলেন একটু বাইরে যাই।
কোথায় যাবেন কিছু খোলা নেই কোথাও বসবেন সে উপায় নেই, প্রচণ্ড শীত। এখানেই গল্প কর্ দুপুরে এখানে খেয়ে যাবেন।
না আমি চাবি নিয়ে এসেছি, বেশি দেরি করতে পারব না আমাকে এখনই উঠতে হবে।
কি, খেয়েছেন ককটেল?
হ্যাঁ দারুণ জিনিষ, আগে খাইনি, আপনার কাছে শিখে নিলাম।
আখতার ভাই আজ তাহলে উঠি।
আচ্ছা, চাবি নিয়ে এসেছেন আবার কি হয়, আবার অফের দিন আসবেন
বলে গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিল।
রাশেদ সাহেব ভাবতে ভাবতে আসছিলেন এই বিলাতের মত সভ্য দেশে থেকেও এরা উপ মহাদেশিয় সাধারণ সঙ্কীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি। আসলে অর্থ মানুষকে কত কি না দিতে পারে। মানুষকে মহান করতে পারে, হীন করতে পারে, শক্তিশালী করতে পারে আবার দুর্বলও করতে পারে। নিচেও নামাতে পারে আবার উপরেও উঠাতে পারে। অর্থ তাকে কোথায় নিয়ে যায় পাতালে নাকি আকাশের কাছে সে ছবি অর্থের আয়নায়ই ফুটে উঠে। এই অর্থের কত শক্তি, সে তো সে নিজের জীবন দিয়েই দেখছে। তার সংস্পর্শে জড়িত যারা তারা সবাই তা অনুভব করছে, তার স্ত্রী সন্তানেরা সবাই। করুক, ময়না মিয়ার যা ইচ্ছা করুক তাতে কি এমন ক্ষতি। কত টাকা আর কম দিবে?
চলার পথে আপনাকে সাথে পেলে হয়ত রাশেদ সাহেবের ভালই লাগবে তাই রাশেদ সাহেবের সাথেই থাকুন আর দেখুন রাশেদ সাহেবের জীবন কেমন চলছে!
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.