Tuesday, 4 December 2012

নক্ষত্রের গোধূলি-৫০ [অধ্যায় ৫]

[পূর্ব সূত্রঃ নক্ষত্রের গোধূলি, পর্ব -৪৯ (অধ্যায় ৫)]
কথা বলতে বলতে কোচ থেকে যেখানে নেমেছিলেন তার পাশ দিয়ে আর একটু এগিয়ে টেসকোতে ঢুকলেন। আবিংডনে যেমন সমারফিল্ড, এখানে তেমন টেসকো সুপার স্টোর। দুইটা হালকা আকাশী রঙের শার্ট কিনে চলে এলেন। বাসায় এসে সন্ধ্যায় সেগুলি পরে ডিউটিতে যাবার জন্য ইস্ত্রি করে রেডি করে রেখে বিছানায় একটু গড়িয়ে নিতে শুয়ে পড়লো। সারা রাত কোচে বসে কেটেছে মাথা টন টন করছে।]

বিকেলে আবার রেস্টুরেন্টে। বাসা থেকে বেশি দূরে না, রাস্তার এপারে আলবেনিয়ন টেরেসের দোতলায় বাসা আর রাস্তার ওপাড়ে রেস্টুরেন্ট। সাড়ে পাঁচটায় ওপেন করতে হয় কাজেই, বাসা থেকে প্রবীণকে যে রকম দেখেছে সেই ভাবে শেভ হয়ে ইউনিফর্ম, টাই পড়ে পারফিউম মেখে পাঁচটায় বের হয়েছে। সকালে ময়না ভাইয়ের দেখানো কাজের তালিকা অনুযায়ী সব কিছু গুছিয়ে নিয়ে মেনুটা দেখার জন্য হাতে নিয়ে বসেছে এমন সময় ময়না ভাই এলেন। কি খবর সব ঠিক ঠাক আছে?দেখেন, আপনি একটু দেখে নেন, প্রথম দিন তো, ভুল ভ্রান্তি হতে পারে। না ঠিক আছে, কোন অর্ডার এসেছে?না এখনো আসেনি। অর্ডার আসলে লিখতে পারবেন?আচ্ছা অর্ডার বইটা নিয়ে আসেন দেখিয়ে দেই কিভাবে লিখবেন। অর্ডার লেখার নমুনা দেখিয়ে দিলেন, বললেন এখানে ভিতরে যারা বসে অর্ডার দেয় তাতে কোন অসুবিধা নেই, ভুল হলে সংশোধন করা যায়, তবে টেলিফোনের অর্ডার গুলি সাবধানে লিখবেন দরকার হলে কয়েকবার রিপিট করে কনফার্ম হবেন।

কারণ, ভুল হলে সমস্যা। আচ্ছা ঠিক আছে চেষ্টা করবো। আসেন বসি, বলে এক পাশে যেখানে আলাদা দুইটা টেবিল আছে, যেখান থেকে মেইন দরজা দেখা যায় সেখানে গিয়ে বলল বসেন। বসে গল্প শুরু করলেন। কবে এসেছেন, দেশে কি করতেন, ছেলে মেয়ে কয়জন, কবে বিয়ে করেছেন, কেন এলেন এইসব। পাশাপাশি তার নিজের কথাও বলে গেলেন। এই ব্যবসা আগে খুব ভালো চলতো, তখন পুরো ফ্যামিলি এখানে এই বাসায় থাকতো। এখন লন্ডনে বাড়ি কিনেছে, ফ্যামিলি ওখানেই থাকে। উনি মাসে একবার যায়, ফেরার পথে লন্ডন থেকে গাড়ি ভরে রেস্টুরেন্টের জন্য দরকারি মালামাল নিয়ে আসে, ইত্যাদি ইত্যাদি। চলেন চা খেয়ে আসি। আবিংডনের মত এখানে সারা রেস্টুরেন্টের জন্য রাশেদ সাহেবকে চা বানাতে হোল না। ময়না ভাই ইলেকট্রিক জগে পানি গরম দিয়ে নিজেই তার ইংলিশ চা বানিয়ে নিলেন এমনকি রাশেদ সাহেবের হাতেও একটা কাপ এগিয়ে দিলেন। রাশেদ সাহেব তারটা বানিয়ে নিয়ে এসে আবার সেই আগের জায়গায় বসে গল্প। এমন সময় টেলিফোন বেজে উঠলো, যান ফোন ধরেন। রাশেদ এগিয়ে গেলেন রিসিভার হাতে নিয়ে গুড ইভনিং জানিয়ে কি খেদমত করতে পারি জানতে চাইলেন।

ওপাড় থেকে জানালো আমি একটা খাবার অর্ডার দিতে চাই। বলুন বলে লিখে নিলেন ময়না ভাই এগিয়ে এসেছিলেন, দেখলেন কি লিখছে। লেখা শেষ হলে ওপাশে থেকে জানতে চাইলো কতক্ষণ লাগবে? মায়না ভাইর দিকে তাকাতে উনি বলল বলেন পনের মিনিট। ইয়েস স্যার ইট উইল বি ফিফটিন মিনিটস অনলি, ওকে স্যার থ্যাঙ্ক ইউ বলে রেখে দিলেন। ময়না ভাই অর্ডার বই থেকে কিচেনের কপি ছিঁড়ে নিয়ে কিচেনে চলে গেল, বলে গেল বিলের হিশাবটা করে রাখেন আমি এটা রেডি করে আসছি। রাশেদ সাহেব একটা তৃপ্তির নিশ্বাস ছাড়লেন, সামনের কাজের প্রথম অধ্যায় সাকসেসফুল। দেলু মিয়াদের গালাগালি, অশ্লীল মন্তব্য, তারের জালে হাত কাটা, ভারী বস্তা টানাটানি, অহেতুক ত্রাসের মধ্যে থাকা, সিঙ্ক থেকে গায়ে নোংরা পানি ছিটে আসা, অন্যের এঁটো কাটা ছানা ছানি করা, সারা গায়ে তেল কালি লেগে থাকা থেকে রেহাই পেয়েছেন। হাত দুটি দেখলেন, এখনো নখের কোনায় কাল হয়ে রয়েছে, কাটা চিহ্ন গুলি কবে মিশবে কে জানে। এখানে কি সুন্দর ফুল বাবু সেজে কাজ করছেন। মনিকে জানাতে হবে। বাইরেই রাস্তার পাশে ফোন বুথ দেখেছে। রাতে ডিউটি শেষ করে বাসায় যাবার পথে ফোন করবে। স্কটল্যান্ডে আসার পুরো ব্যাপারটাই মনিকে বলার সুযোগ হয়নি। ভেবেছিলেন ওখানে যাবার পর কি অবস্থা হয় তাই দেখে পরে জানাবে।

এখানে লাইব্রেরি কোথায় দেলুর কাছে জানতে হবে। কাজের প্রতি খুব মনোযোগ দিচ্ছেন, মেনু নিয়ে পড়ে মুখস্থ করার চেষ্টা করছেন। ভিতরে ঢুকেই সমস্ত রেস্টুরেন্ট ভরে হেটে দেখেন কোন অসংগতি আছে কিনা, কোন চেয়ার একটু বাঁকা হয়ে আছে কিনা, টেবিল সেটিঙের প্লেট, কোয়ার্টার প্লেট, ন্যাপকিন, ফর্ক, নাইফ ইত্যাদি ঠিক আছে কিনা। একটু পরেই দরজা দিয়ে এক কাস্টমার ঢুকতে দেখে তার দিকে এগিয়ে গুড ইভনিং স্যার, আমি টেক এওয়ের অর্ডার দিয়েছিলাম নাম ব্রাউন। ও ইয়েস স্যার, বলে কাউন্টারে এসে বিল দেখে বলল নাইন পাউন্ড সিক্সটি পেন্স স্যার। ভদ্র লোক পকেট থেকে দশ পাউন্ডের একটা নোট বের করে দিলো রাশেদ সাহেব ভাংতি চল্লিশ পেনি ফেরত দিয়ে লাউঞ্জ দেখিয়ে বসতে বলে কিচেনে চলে গেল। ময়না ভাই কাস্টমার এসেছে। হ্যাঁ হয়ে গেছে নিয়ে যান বলে একটা ব্যাগ হাতে দিয়ে দিল। সেটা এনে কাস্টমার ভদ্রলোকের সামনে আসতেই উনি উঠে দাঁড়ালেন, এগিয়ে এসে এক হাতে দরজা খুলে তার হাতে ব্যাগটা দিয়ে বললেন আবার আসবেন। ঘুরে দেখে ময়না ভাই হাত মুছতে মুছতে সামনে আসছে। এই রাতে আরও তিন চারটা টেকএওয়ে গেছে এবং দশ বারোজন ভিতরে খেয়েছে। ময়না ভাই সার্ভ করেছে। মদের অর্ডারের মদগুলি ময়না ভাই ঢেলে দিয়েছে আর রাশেদ সাহেব সার্ভ করেছে, প্রথম বলে হাত একটু একটু কেঁপেছে, তবে ভয় পায়নি। সে শুধু খাবার শেষ হলে খালি প্লেট গুলি তুলে নিয়ে কিচেনের সিঙ্কের পাশে রেখে এসেছে। ময়না ভাই যখন কিচেনে রান্না করছিল তখন যে মদের অর্ডার দিয়েছে সেগুলি রাশেদ সাহেবই দিতে পেরেছে, দিয়ে আবার বিলে হিশাব টুকে রেখেছে। কাস্টমার চলে গেলে ময়না ভাই যে ভাবে দেখিয়ে দিয়েছে সেই ভাবে আবার টেবিল পরিষ্কার করে সেট করে রেখেছে।

রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে বাসায় যাবার পথে দেলুকে বলল ভাই আপনারা যান আমি একটু ফোন করে আসছি। হ্যালো, মনির কণ্ঠ, হ্যাঁ মনি আমি। কি ব্যাপার, কত দিন হয়ে গেছে তুমি ফোন করনা আমি চিন্তায় অস্থির, কেমন আছ তুমি? না মনি তোমার চিন্তার কোন কারণ নেই আমি ভালো আছি। আমি অক্সফোর্ড থেকে আজ স্কটল্যান্ডে চলে এসেছি। কেন? এখানে সামনে কাজ পেয়েছি, আজ প্রথম দিন এখানে কাজ করলাম, খুব ভালো লেগেছে, ওখানকার মত না, বেশ সহজ কাজ। যাক বাঁচলাম, আমি শুধু আল্লা আল্লা করছি আমার পাগলকে একটু দেখ আল্লা। হ্যাঁ মনি আল্লা তোমার কথা শুনেছে আমিও বেচেছি। মনি, কি যে কষ্ট ওই কাজে, আচ্ছা, ছোটনের পরীক্ষার কি খবর? হ্যাঁ ও পাশ করেছে, আর মাঝুর ইয়ার ফাইনাল সামনে শুরু হবে, পড়াশুনা করছে। তা হলে মনি এখন রাখি, দেখি এখানে লাইব্রেরি কোথায়, পেলে মেইল পাঠাবো, খোদা হাফেজ।

পরের দিন, তার পরের দিন এবং তার পরেও এই ভাবে বেশ সুখেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন, ফাকে ফাকে ময়না ভাই আর দেলুর সাথে গল্প। আজ ময়না ভাই আসেনি দেলু কিচেনে ব্যস্ত। জানালার পর্দা সরানো রয়েছে, বাইরে স্নো পরছে ভিতরে ইন্ডিয়ান হিন্দি জ়োবায়দা সিনেমার গান বাজছে। রেস্টুরেন্ট খুলেই মিউজিক বাজাতে হয়, এদেশের এই রীতি। সাধারণত এশিয়ান রেস্টুরেন্ট গুলিতে নিজ নিজ দেশের মিউজিক বাজায়। রাশেদ সাহেব বসে বসে স্নো দেখছেন। জীবনের প্রথম। দেখতে দেখতে মাঝে মাঝে হারিয়ে যাচ্ছেন। অপূর্ব দৃশ্য, চারিদিকে সাদা, সাদা, আর সাদা, শুধু সাদা, দালান কোঠার লাল কালো টালির চাল সাদা, গাছপালার ডাল সাদা, দূরে ওই দুই দালানের ফাকে ক্রিকের ওপাশের পাহাড় সাদা, পাহারের চুড়া সাদা, ক্রিকের পানি সাদা, বাসের যাত্রী ছাউনির চাল সাদা, দালান কোঠার জানালার কার্নিশ সাদা, রাস্তা সাদা, রাস্তা দিয়ে দুই একটা গাড়ি যা যাচ্ছে তার সারা দেহ সাদা, আকাশ সাদা, সমস্ত পৃথিবী সাদা। ঝির ঝির স্নো জানালার কাচে এসে লাগছে আবার নিমেষেই গলে যাচ্ছে দেখে দেখে দেশের কথা মনে হয়েছে। ওখানে এই ভাবে জানালায় বসে বৃষ্টি দেখেছি, সাথে চানাচুর, মুড়ি কিংবা ছোলা ভাজা, চা। আর এখানে দেখছি স্নো। উঠে গিয়ে কিচেন থেকে এক কাপ চা এনে বসলেন। রাস্তায় মানুষজন নেই বললেই চলে। এখানে প্রায়ই স্নো পরে। শিমুল গাছে শিমুল তুলা যেমন পেকে ফেটে গেলে বাতাসে উড়ে ঝিরঝির করে মাটিতে নেমে আসে তেমনি ঝির ঝির করে সারা দিন স্নো পরছে।

প্রায় দুপুরে কাজ শেষ করে তিনজনে একসাথে বাইরে হাটতে বের হত। যেদিন স্নো হয় কিন্তু রাস্তায় বরফ জমে উঠেনি সেদিন ছাতা নিয়ে বের হতেন। রাস্তায় বরফ জমে গেলে আর হাটা যায়না। দোকানে দোকানে ঘুরে ঘুরে দেখতেন। রাস্তার পাড়ে একটা বিল্ডিং দেখলেন প্রায় দুইশ চৌত্রিশ বৎসর আগের তৈরি। রাশেদ সাহেব যা ভেবেছিলেন তাই, তবে রাশেদ সাহেব যত পুরনো শহর ভেবেছিলেন তার চেয়ে এটা অনেক বেশী পুরনো সেদিন টেসকোতে যাবার সময় একটা স্মৃতিস্তম্ভ দেখেছে প্রায় চারশো বছর আগের তৈরি তাহলে এই শহরের বয়স তার চেয়েও অনেক বেশি। এটা একটা টুরিস্ট শহর এখানে যত মানুষ দেখা যায় তার চার ভাগের তিন ভাগই টুরিস্ট এবং অধিকাংশই আমেরিকেন। সঙ্গত কারণেই দোকান গুলি পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা খুব সুন্দর সুন্দর সৌখিন জিনিষ পত্রে সাজানো, অনেক দোকান। তবে দেলু বলল এখন শীত বলে টুরিস্ট কম, টুরিস্ট বাড়বে সামারে তখন এইটুক শহর লোকে গিজ গিজ করে। ওদের সাথেই একদিন হাটতে হাটতে লাইব্রেরি দেখে এসেছে, কাছেই, বেশি দূরে না। সামনের অফের দিন যাবে। লাইব্রেরির সাথেই টাউন হল সেখানে মাঝে মাঝে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় যদিও তা রাশেদ সাহেবদের নাগালের বাইরে। পঞ্চাশ পাউন্ডের নিচে কোন টিকেট নেই, উপরে দুইশ পাউন্ড পর্যন্ত।

রাত এবং দিন যেমন একের পর এক আসে যায়, সুবিধা অসুবিধাও তেমনি। এখানে গ্লাসগো ছাড়া হালাল কোন মাংস পাওয়া যায়না, মাছতো কল্পনাই করা যায়না। এক সপ্তাহ হয়েছে এসেছে এর মধ্যে দুপুরে এবং রাতে শুধু চিকেন, কখনো আলু দিয়ে, কখনো পাতা কফি দিয়ে। সকালে ব্রেড, মার্জারিন বা মাখন, ডিম আর চা, এই ভাবে চলেছে এবং যত দিন থাকবে এইভাবেই নাকি চলবে। হটাত যদি কখনো মালিক লন্ডন থেকে ফেরার পথে ভেড়ার মাংস আর কিছু মাছ যদি মনে করে এবং দয়া করে আনে তবে তা চোখে দেখা যেতে পারে নয়তো কোন উপায় নেই। ওদিকে রুমে হিটার চলে রাত বারোটা থেকে দুইটা পর্যন্ত মাত্র দুই ঘণ্টা। আবার বেসিনে বা গোসলের জন্য গরম পানি নেই, সকালে মুখ ধোয়া ওজু করা সবই বরফ ঠাণ্ডা পানি দিয়েই করতে হচ্ছে। তবে, সেদিন ইলেকট্রিক জগে পানি গরম করে সাত দিন পর গোসল করতে পেরেছে। রুম হিটারে টাইমার সেট করা বলে রাত দুইটায় একা একাই বন্ধ হয়ে যায়। মোটা মুটি ঘণ্টা দুয়েক উষ্ণ থাকে তারপর থেকেই রুম ঠাণ্ডা হতে থাকে এবং ভোরের আগেই স্কটিশ ঠাণ্ডার কামড়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়।

প্রথম দুই দিন খুব কষ্টে রাত পার করেছে, কিছুক্ষণ পর পরই গা কেপে কেপে উঠেছে। এর পর থেকে তার সাথে যা ছিল, গরম কাপড়, পায়ের মুজা, হাতের মুজা, মাফলার সব কিছু পড়ে নিয়ে দুইটা লেপ সেলাই করে গায়ে দিয়ে কাটাতে হয়েছে। রাশেদ কখনো গায়ে লেপ রাখতে পারেনা, হাত পা ছড়িয়া ফেলে দেয়। আগে মা ঠিক করে দিতেন, পরে মনি আসার পর তার মনি গায়ের লেপ ঠিক করে দিত। এখানে মনি নেই, কে লেপ উঠিয়ে দিবে? তাই, দুইটা লেপ একত্রে সেলাই করে এক পাশে আর পায়ের দিকে বিছানার ম্যাট্রেসের সাথে ফিতা বানিয়ে বেধে নিয়েছিলেন যাতে পড়ে না যায়। মালিকের ইলেকট্রিক আর গ্যাস বিল বাঁচাবার জন্য হিটার চালানো হয়না। তবে স্কটল্যান্ডের সবচেয়ে ভালো যেটা রাশেদ সাহেব দেখেছেন তা হোল পানি, এখানকার পানি অতি সুস্বাদু। প্রথম বারে পানি খেয়েই ভেবেছেন এই জন্যেই মনে হয় স্কটল্যান্ডের স্কচ পৃথিবীর বিখ্যাত হুইস্কি।

শুধু আসা আর যাওয়া এর নামই চলা, তেমনি করেই চলবে আমাদের এই রাশেদ সাহেব। সাথেই থাকুন আর দেখুন রাশেদ সাহেব কোথায় কি করে!

No comments:

Post a Comment

Thank you very much for your comments.