[ছবিঃ যেখানে এলিজাবেথ এবং আমি রাতের খাবার খেয়েছিলাম তার পাশে পিলগ্রিম স্ট্রিট]
[পূর্ব প্রকাশের পর, গোল্ডি সাহেব এবং স্কটিশ সুন্দরী-৪]
তুমি স্কটল্যান্ড গেছ?
গেছি মানে, বলে কি এই মেয়ে?
গ্লাসগো থেকে আবারডিন পর্যন্ত কোন শহরের কথা জিজ্ঞেস করবে করে দেখ।
তাই নাকি?
হ্যাঁ আসলে ওখানে যাবার আমার একটা বিশেষ ইচ্ছে ছিল কারন আমার এক প্রিয় শিক্ষকের বাড়ি কোন এলাকায় তা দেখতে চেয়েছিলাম। সেও তোমার মত ক্যাম্পবেল, তার নাম ছিল অলসটার ক্যাম্পবেল। সে স্কটিশ এটুকুই
জানতাম কিন্তু কোন শহরের তা জানতাম না তবে আমার ধারনা মতে ডান্ডি হতে পারে। তবুও হ্যামিলটন, গ্লাসগো, পার্থ, স্টার্লিং, ডান্ডি, স্টোন হ্যাভেন, ওবান সব জাগায় অর্থাৎ আমি যেখানে যেখানে গেছি সেখানেই যে বয়স্ক ক্যাম্পবেল পেয়েছি তাকেই জিজ্ঞেস করেছি।
পেয়েছ?
না এত বড় স্কটল্যান্ডে কি আর এই ভাবে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়?পাইনি, তবে নিজের মনকে প্রবোধ দিতে পেরেছি যে আমি খুঁজেছি।
তোমার একজন শিক্ষকের প্রতি এই শ্রদ্ধা দেখে আমি অবাক হলাম।
তোমার বাড়ি কোথায় বললে না?
আমার বাড়ি পার্থে।
আমি দেখেছি, খুব সুন্দর জায়গা আমার কাছে ছবির মত মনে হতো।
ওখানেই আমি বড় হয়েছি তবে এখন নিউক্যাসেলে থাকি।
ওখানে কে থাকে?
কেউ না।
কেন?
কে থাকবে? আমার বাবা মা কেউ নেই।
ওহ, সরি!
পাঞ্জাবী রেস্টুরেন্টে ভেড়ার মাংস দিয়ে নান এবং যথারীতি খাবার আগে লার্জ দুই গ্লাস রেড ওয়াইন খেয়ে নিল এলিজাবেথ। আর আমি অরেঞ্জ জুস। খেয়ে দেয়ে এসে গাড়িতে উঠলাম। এলিজাবেথ ড্রাইভ করছে। হঠাত্ আজদা সুপারমার্কেটের সামনে এসে থামল। এদেশে সাধারণত বেশি রাতে কোন দোকান পাট খোলা থাকে না। সন্ধ্যার পরে সবাই যার যার ঘরে ফিরে যায়। দোকান খোলা থাকবে কার জন্য? তবে বিশেষ কিছু সুপার মার্কেট ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে।
জিজ্ঞেস করলাম কি হল এখানে থামলে কেন?
আজ তো হল, কাল সকালে ব্রেকফাস্ট করবে কি দিয়ে? এখান থেকে কিছু নিয়ে যাও।
সত্যিই এলিজাবেথ তুমি শুধু দেখতেই সুন্দর নও, তুমি খুব ভাল মেয়ে।
গাড়ি থেকে নামলাম। এলিজাবেথ নামল। দুধ, ব্রেড, মার্জারিন, চা পাতা এই রকম কিছু ওই তুলে দিল ঝুড়িতে। দাম টাম দিয়ে এসে আবার গাড়িতে। সাত আট মিনিটের মধ্যে ল্যেঙ্কেস্টার স্ট্রিটের একটা বাসার সামনে এসে থেমে বলল
নাও এই হচ্ছে তোমার বাসা আর হাতের ব্যাগটা খুলে ডেভিডের কাছ থেকে আনা চাবিটা বের করে হাতে দিয়ে বলল এই হল চাবি। চল, মাল নামিয়ে গৃহে প্রবেশ কর এখন।
গাড়ির পেছনটা খুলে দিয়ে একটা ব্যাগ নিয়ে আমার সাথে এসে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে বলল তাহলে এখন আমি আসি? কাল দেখা হবে।
ওকে এলিজাবেথ, অনেক কষ্ট করেছ আমার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভ রাত্রি।
এলিজাবেথ গাড়ি নিয়ে চোখের আড়াল হওয়া পর্যন্ত ওর গাড়ির পিছনের লাল বাতির দিকে তাকিয়ে আমার খুকুর কথা মনে এলো। লাল বাতি বাম দিকে ঘুরে আড়াল হলে পর তালা খুলে ঘরে ঢুকে লাইট জ্বালিয়ে দেখে নিলাম নিচে বড় একটা কিচেন, বড় বাথরুম। উপরে যাবার সিঁড়ি বেয়ে উঠে দেখলাম এখানে শুধুই একটা শোবার ঘর। অনেক দিনের পুরনো বাড়ি। ভিক্টোরিয়া আমলেরও হতে পারে। স্টুডিও টাইপের বাড়ি। সেন্ট্রাল হিটিং সিস্টেমের বয়লার কিচেনেই, ওটা অন করে দিলাম। সারা বাড়ি ঠাণ্ডা বরফ হয়ে রয়েছে। অন্তত এক ঘণ্টার আগে গরম হবে না। জিনিষ পত্র উঠিয়ে কোন রকম রেখে আর কোন হিটার আছে কিনা দেখছিলাম। হ্যাঁ ওইতো ওয়ারড্ররবের পাশেই, এটাও অন করে দিলাম, ঘড়টা গরম হোক পরে শোবার আগে অফ করলেই হবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত মুখ ধোয়া যাবে না তাই পানি গরম হওয়া পর্যন্ত কাপর চোপর বদলে জিনিশ পত্র একটু গুছিয়ে রাখলাম। এতক্ষণে মনে হল পানি গরম হয়েছে, বাথরুমে গিয়ে দেখি হ্যাঁ গরম পানি আসছে। হাতমুখ ধুয়ে এসেই শুয়ে পরলাম আর গোল্ডি সাহেবের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবার আনন্দে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝতেই পারিনি।
[এইতো, এই পর্যন্তই। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।]
[পূর্ব প্রকাশের পর, গোল্ডি সাহেব এবং স্কটিশ সুন্দরী-৪]
তুমি স্কটল্যান্ড গেছ?
গেছি মানে, বলে কি এই মেয়ে?
গ্লাসগো থেকে আবারডিন পর্যন্ত কোন শহরের কথা জিজ্ঞেস করবে করে দেখ।
তাই নাকি?
হ্যাঁ আসলে ওখানে যাবার আমার একটা বিশেষ ইচ্ছে ছিল কারন আমার এক প্রিয় শিক্ষকের বাড়ি কোন এলাকায় তা দেখতে চেয়েছিলাম। সেও তোমার মত ক্যাম্পবেল, তার নাম ছিল অলসটার ক্যাম্পবেল। সে স্কটিশ এটুকুই
জানতাম কিন্তু কোন শহরের তা জানতাম না তবে আমার ধারনা মতে ডান্ডি হতে পারে। তবুও হ্যামিলটন, গ্লাসগো, পার্থ, স্টার্লিং, ডান্ডি, স্টোন হ্যাভেন, ওবান সব জাগায় অর্থাৎ আমি যেখানে যেখানে গেছি সেখানেই যে বয়স্ক ক্যাম্পবেল পেয়েছি তাকেই জিজ্ঞেস করেছি।
পেয়েছ?
না এত বড় স্কটল্যান্ডে কি আর এই ভাবে কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়?পাইনি, তবে নিজের মনকে প্রবোধ দিতে পেরেছি যে আমি খুঁজেছি।
তোমার একজন শিক্ষকের প্রতি এই শ্রদ্ধা দেখে আমি অবাক হলাম।
তোমার বাড়ি কোথায় বললে না?
আমার বাড়ি পার্থে।
আমি দেখেছি, খুব সুন্দর জায়গা আমার কাছে ছবির মত মনে হতো।
ওখানেই আমি বড় হয়েছি তবে এখন নিউক্যাসেলে থাকি।
ওখানে কে থাকে?
কেউ না।
কেন?
কে থাকবে? আমার বাবা মা কেউ নেই।
ওহ, সরি!
পাঞ্জাবী রেস্টুরেন্টে ভেড়ার মাংস দিয়ে নান এবং যথারীতি খাবার আগে লার্জ দুই গ্লাস রেড ওয়াইন খেয়ে নিল এলিজাবেথ। আর আমি অরেঞ্জ জুস। খেয়ে দেয়ে এসে গাড়িতে উঠলাম। এলিজাবেথ ড্রাইভ করছে। হঠাত্ আজদা সুপারমার্কেটের সামনে এসে থামল। এদেশে সাধারণত বেশি রাতে কোন দোকান পাট খোলা থাকে না। সন্ধ্যার পরে সবাই যার যার ঘরে ফিরে যায়। দোকান খোলা থাকবে কার জন্য? তবে বিশেষ কিছু সুপার মার্কেট ২৪ ঘণ্টা চালু থাকে।
জিজ্ঞেস করলাম কি হল এখানে থামলে কেন?
আজ তো হল, কাল সকালে ব্রেকফাস্ট করবে কি দিয়ে? এখান থেকে কিছু নিয়ে যাও।
সত্যিই এলিজাবেথ তুমি শুধু দেখতেই সুন্দর নও, তুমি খুব ভাল মেয়ে।
গাড়ি থেকে নামলাম। এলিজাবেথ নামল। দুধ, ব্রেড, মার্জারিন, চা পাতা এই রকম কিছু ওই তুলে দিল ঝুড়িতে। দাম টাম দিয়ে এসে আবার গাড়িতে। সাত আট মিনিটের মধ্যে ল্যেঙ্কেস্টার স্ট্রিটের একটা বাসার সামনে এসে থেমে বলল
নাও এই হচ্ছে তোমার বাসা আর হাতের ব্যাগটা খুলে ডেভিডের কাছ থেকে আনা চাবিটা বের করে হাতে দিয়ে বলল এই হল চাবি। চল, মাল নামিয়ে গৃহে প্রবেশ কর এখন।
গাড়ির পেছনটা খুলে দিয়ে একটা ব্যাগ নিয়ে আমার সাথে এসে বাসার সামনে নামিয়ে দিয়ে বলল তাহলে এখন আমি আসি? কাল দেখা হবে।
ওকে এলিজাবেথ, অনেক কষ্ট করেছ আমার জন্য, অনেক অনেক ধন্যবাদ, শুভ রাত্রি।
এলিজাবেথ গাড়ি নিয়ে চোখের আড়াল হওয়া পর্যন্ত ওর গাড়ির পিছনের লাল বাতির দিকে তাকিয়ে আমার খুকুর কথা মনে এলো। লাল বাতি বাম দিকে ঘুরে আড়াল হলে পর তালা খুলে ঘরে ঢুকে লাইট জ্বালিয়ে দেখে নিলাম নিচে বড় একটা কিচেন, বড় বাথরুম। উপরে যাবার সিঁড়ি বেয়ে উঠে দেখলাম এখানে শুধুই একটা শোবার ঘর। অনেক দিনের পুরনো বাড়ি। ভিক্টোরিয়া আমলেরও হতে পারে। স্টুডিও টাইপের বাড়ি। সেন্ট্রাল হিটিং সিস্টেমের বয়লার কিচেনেই, ওটা অন করে দিলাম। সারা বাড়ি ঠাণ্ডা বরফ হয়ে রয়েছে। অন্তত এক ঘণ্টার আগে গরম হবে না। জিনিষ পত্র উঠিয়ে কোন রকম রেখে আর কোন হিটার আছে কিনা দেখছিলাম। হ্যাঁ ওইতো ওয়ারড্ররবের পাশেই, এটাও অন করে দিলাম, ঘড়টা গরম হোক পরে শোবার আগে অফ করলেই হবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে হাত মুখ ধোয়া যাবে না তাই পানি গরম হওয়া পর্যন্ত কাপর চোপর বদলে জিনিশ পত্র একটু গুছিয়ে রাখলাম। এতক্ষণে মনে হল পানি গরম হয়েছে, বাথরুমে গিয়ে দেখি হ্যাঁ গরম পানি আসছে। হাতমুখ ধুয়ে এসেই শুয়ে পরলাম আর গোল্ডি সাহেবের হাত থেকে নিষ্কৃতি পাবার আনন্দে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বুঝতেই পারিনি।
[এইতো, এই পর্যন্তই। এতক্ষণ সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।]
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.