( এলোমেলো ভাবনা)
এক সময় ছিল যখন নিজের খাতায় বা ছেড়া কোন কাগজে আমাদের যা কিছু লিখতে ইচ্ছে হতো তাই লিখতাম। সে সময় কোন পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হওয়া ছিল এক বিশাল রকমের কোন সৌভাগ্যের ব্যপার। সবাই সে সুযোগও পেত
না। কিন্তু আজকাল আর সে সময় নেই। যুগের পরিবর্তনে অনেক কিছুই বদলে গেছে। অনেক কিছুই এসেছে যা খুবই ভাল আবার কিছু এসেছে যাকে আপাত মন্দ বললেও দেখা যায় তার অধিকাংশই ভাল তাই মন্দ বলার অবকাশ নেই।
ঠিক এমনই কিছু সুযোগ এসেছে এই ওয়েব জগতে। যারা আজকাল এই আকাশ সভ্যতায় বিচরণ করতে পারেন তারা এই সুযোগটা ব্যবহার করতে পারছেন আবার তেমনি সবাই এখনও এই সুযোগ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে এখানে কিছু আর্থিক সঙ্গতির বিষয় জড়িত রয়েছে। তবে দেখা যাক আমাদের দোয়েল নামের লেপটপ কত দূর এগুতে পারে, আমরা তার সাফল্যের পথ চেয়ে রইলাম। এখানে আজকাল সবাই নিজের যা মনে হচ্ছে তা প্রচার বা প্রকাশ করতে পারছেন। অনেকেই দেখছেন পড়ছেন। পড়ে তার মতামত দিচ্ছেন। তবে যারা এই জগতে বিচরণ করেন তারা সবাই এক কথায় ধরে নেয়া যায় শিক্ষিত। কাজেই নিতান্ত ভদ্রতা রক্ষা করতে গিয়ে তাদের কেউ হয়ত কাউকে মন্দ বলছে না সবাই এক কথায় প্রসংশা করেই যাচ্ছেন। এতে যিনি লিখছেন তিনি তার নিজেকে সঠিক যাচাই করতে পারছেন না। সে যাই হোক এ সব নিয়ে লিখতে গেলে অনেক কথা এসে যায় তাই কথা বাড়াচ্ছি না সামান্য কিছু বলেই শেষ করব।
আমি নিজেও বেশ কিছু দিন, তা হ্যাঁ প্রায় দুই বছরের বেশিই হবে মনে হয় লিখছি। কাউকে শেখাবার জন্য আমার এই লেখা নয়। আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার সাথে সবাই এক মত পোষন নাও করতে পারেন। আমি শুধু আমার ভাবনা গুলি জানাচ্ছি। তবে যিনি খোলা ভাবে আলোচনায় আসতে চান তাকে নিষেধ করব সে ইচ্ছে আমার নেই। আসতে পারেন।
এমন নানা ব্লগে লিখতে গিয়ে আমি যে সব সমস্যায় ভুগেছিঃ
১) বাংলায় টাইপ করতে না পারায় অনেক বানান ভুল দেখাত যা নিয়ে অনেক মন্তব্য পেয়েছি এবং নিজের অক্ষমতার জন্য তা মেনেও নিয়েছি। দেখি অনেকেরই এমন হয় তাই আমি অন্তত এ নিয়ে কিছু বলি না। কারন আমি জানি আমরা অধিকাংশই কেউ টাইপিস্ট নই। কলমে বানান ভুল এবং কম্পিউটারের কী বোর্ডে টাইপিং ভুলের মধ্যে অনেক তফাত।
২) নিজের যা মনে আসে তাই লিখে ফেলি। কখনও ভেবে দেখি না যে কারা এগুলি পড়ছে। ফলে যা হবার তাই হতো। নানা কটু মন্তব্য পেয়েছি এবং তা অবলীলায় হজম করেছি। তবুও ওই যে লেখার একটা সখ তা এড়াতে না পেরে লিখে ফেলে একটা আত্ম তৃপ্তি পাবার চেষ্টা করেছি। হয়তো আমার মত আরো কাউকে পাওয়া যেতে পারে।
৩) কবিতা লিখতে গিয়েও ওই একই অবস্থা। পরে কিছু নিজে ভেবে ভেবে এবং কিছু খুজে খুজে দেখে জেনেছি যা তাই আজ এখানে তুলে দিলাম।
আমরা অনেকেই কবিতা নামে কিছু লেখার ইচ্ছা থেকে চেষ্টা করি কিন্তু সে কি হছে তা ভেবে দেখার সুযোগ পাই না বা দেখি না। নিজেই মনে মনে ভেবে নিই যে একটা কবিতা লিখলাম। আসলে কি তাই?
কবিতার কিছু গুন বা নিয়ম অবশ্যই আছে যা আমার ধারনা বা জানা মতে আমি বিশ্বাস করি। জানি না আপনারা আমার সাথে এক মত হবেন কি না।
ক) কবিতা= কথা+বিন্যাস+তান।
খ) মনের কথা মনের মত করে মনের মানুষকে বলার মনের মত উপায়কে কবিতা বলা যায়।
গ) অবসর সময়ের এলোমেলো ভাবনা গুলো কথার বিন্নুনীতে শৈল্পিক ঢঙ্গে প্রকাশ করাই কবিতা।
ঘ) কবিতা লিখতে গিয়ে কিছু উপাদানের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হয় যেমনঃ উৎপেক্ষা, উপমা, চিত্রকল্প, অনুপ্রাস, এবং কাব্যময় শব্দ চয়ন।
আবার এর সাথে আরো কিছু দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে যেমন;
শব্দ প্রয়োগে নতুনত্বের প্রচলন, শৈল্পিক ভঙ্গিতে বাক্য গঠন, শৈল্পিক আঙ্গিকে উপস্থাপনা, প্রয়োজনিয় শব্দের অবশ্যম্ভাবী বাণি বিন্যাস, ছন্দ, সার্বজনীন, গতানুগতিকতা বর্জিত,অনুকরণ এবং প্রভাব মুক্ত, সাবলীল প্রকাশ, সুস্পষ্ট বক্তব্য, ভাবের গভীরতা, অহেতুক জটিল শব্দের প্রয়োগ না করা, পড়তে গিয়ে পাঠক হোচট খায় কি না সে দিকে লক্ষ্য রাখা। এ ছাড়াও এ ধরনের অনেক কিছু মেনে চললে দেখা যাবে সেটা একটা সুন্দর লেখা হয়েছে।
পরে কোন এক দিন গানের কথা এবং সুর নিয়ে আলাপ করার ইচ্ছা রইল। যদিও আমি সুরকার নই।
*** সব চেয়ে জরুরী প্রয়োজন হল আমাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ তৈরী হওয়া।
এক সময় ছিল যখন নিজের খাতায় বা ছেড়া কোন কাগজে আমাদের যা কিছু লিখতে ইচ্ছে হতো তাই লিখতাম। সে সময় কোন পত্রিকায় লেখা প্রকাশ হওয়া ছিল এক বিশাল রকমের কোন সৌভাগ্যের ব্যপার। সবাই সে সুযোগও পেত
না। কিন্তু আজকাল আর সে সময় নেই। যুগের পরিবর্তনে অনেক কিছুই বদলে গেছে। অনেক কিছুই এসেছে যা খুবই ভাল আবার কিছু এসেছে যাকে আপাত মন্দ বললেও দেখা যায় তার অধিকাংশই ভাল তাই মন্দ বলার অবকাশ নেই।
ঠিক এমনই কিছু সুযোগ এসেছে এই ওয়েব জগতে। যারা আজকাল এই আকাশ সভ্যতায় বিচরণ করতে পারেন তারা এই সুযোগটা ব্যবহার করতে পারছেন আবার তেমনি সবাই এখনও এই সুযোগ পাচ্ছেন না। বিশেষ করে এখানে কিছু আর্থিক সঙ্গতির বিষয় জড়িত রয়েছে। তবে দেখা যাক আমাদের দোয়েল নামের লেপটপ কত দূর এগুতে পারে, আমরা তার সাফল্যের পথ চেয়ে রইলাম। এখানে আজকাল সবাই নিজের যা মনে হচ্ছে তা প্রচার বা প্রকাশ করতে পারছেন। অনেকেই দেখছেন পড়ছেন। পড়ে তার মতামত দিচ্ছেন। তবে যারা এই জগতে বিচরণ করেন তারা সবাই এক কথায় ধরে নেয়া যায় শিক্ষিত। কাজেই নিতান্ত ভদ্রতা রক্ষা করতে গিয়ে তাদের কেউ হয়ত কাউকে মন্দ বলছে না সবাই এক কথায় প্রসংশা করেই যাচ্ছেন। এতে যিনি লিখছেন তিনি তার নিজেকে সঠিক যাচাই করতে পারছেন না। সে যাই হোক এ সব নিয়ে লিখতে গেলে অনেক কথা এসে যায় তাই কথা বাড়াচ্ছি না সামান্য কিছু বলেই শেষ করব।
আমি নিজেও বেশ কিছু দিন, তা হ্যাঁ প্রায় দুই বছরের বেশিই হবে মনে হয় লিখছি। কাউকে শেখাবার জন্য আমার এই লেখা নয়। আমি আগেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমার সাথে সবাই এক মত পোষন নাও করতে পারেন। আমি শুধু আমার ভাবনা গুলি জানাচ্ছি। তবে যিনি খোলা ভাবে আলোচনায় আসতে চান তাকে নিষেধ করব সে ইচ্ছে আমার নেই। আসতে পারেন।
এমন নানা ব্লগে লিখতে গিয়ে আমি যে সব সমস্যায় ভুগেছিঃ
১) বাংলায় টাইপ করতে না পারায় অনেক বানান ভুল দেখাত যা নিয়ে অনেক মন্তব্য পেয়েছি এবং নিজের অক্ষমতার জন্য তা মেনেও নিয়েছি। দেখি অনেকেরই এমন হয় তাই আমি অন্তত এ নিয়ে কিছু বলি না। কারন আমি জানি আমরা অধিকাংশই কেউ টাইপিস্ট নই। কলমে বানান ভুল এবং কম্পিউটারের কী বোর্ডে টাইপিং ভুলের মধ্যে অনেক তফাত।
২) নিজের যা মনে আসে তাই লিখে ফেলি। কখনও ভেবে দেখি না যে কারা এগুলি পড়ছে। ফলে যা হবার তাই হতো। নানা কটু মন্তব্য পেয়েছি এবং তা অবলীলায় হজম করেছি। তবুও ওই যে লেখার একটা সখ তা এড়াতে না পেরে লিখে ফেলে একটা আত্ম তৃপ্তি পাবার চেষ্টা করেছি। হয়তো আমার মত আরো কাউকে পাওয়া যেতে পারে।
৩) কবিতা লিখতে গিয়েও ওই একই অবস্থা। পরে কিছু নিজে ভেবে ভেবে এবং কিছু খুজে খুজে দেখে জেনেছি যা তাই আজ এখানে তুলে দিলাম।
আমরা অনেকেই কবিতা নামে কিছু লেখার ইচ্ছা থেকে চেষ্টা করি কিন্তু সে কি হছে তা ভেবে দেখার সুযোগ পাই না বা দেখি না। নিজেই মনে মনে ভেবে নিই যে একটা কবিতা লিখলাম। আসলে কি তাই?
কবিতার কিছু গুন বা নিয়ম অবশ্যই আছে যা আমার ধারনা বা জানা মতে আমি বিশ্বাস করি। জানি না আপনারা আমার সাথে এক মত হবেন কি না।
ক) কবিতা= কথা+বিন্যাস+তান।
খ) মনের কথা মনের মত করে মনের মানুষকে বলার মনের মত উপায়কে কবিতা বলা যায়।
গ) অবসর সময়ের এলোমেলো ভাবনা গুলো কথার বিন্নুনীতে শৈল্পিক ঢঙ্গে প্রকাশ করাই কবিতা।
ঘ) কবিতা লিখতে গিয়ে কিছু উপাদানের দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখতে হয় যেমনঃ উৎপেক্ষা, উপমা, চিত্রকল্প, অনুপ্রাস, এবং কাব্যময় শব্দ চয়ন।
আবার এর সাথে আরো কিছু দিকে দৃষ্টি রাখতে হবে যেমন;
শব্দ প্রয়োগে নতুনত্বের প্রচলন, শৈল্পিক ভঙ্গিতে বাক্য গঠন, শৈল্পিক আঙ্গিকে উপস্থাপনা, প্রয়োজনিয় শব্দের অবশ্যম্ভাবী বাণি বিন্যাস, ছন্দ, সার্বজনীন, গতানুগতিকতা বর্জিত,অনুকরণ এবং প্রভাব মুক্ত, সাবলীল প্রকাশ, সুস্পষ্ট বক্তব্য, ভাবের গভীরতা, অহেতুক জটিল শব্দের প্রয়োগ না করা, পড়তে গিয়ে পাঠক হোচট খায় কি না সে দিকে লক্ষ্য রাখা। এ ছাড়াও এ ধরনের অনেক কিছু মেনে চললে দেখা যাবে সেটা একটা সুন্দর লেখা হয়েছে।
পরে কোন এক দিন গানের কথা এবং সুর নিয়ে আলাপ করার ইচ্ছা রইল। যদিও আমি সুরকার নই।
*** সব চেয়ে জরুরী প্রয়োজন হল আমাদের মধ্যে জাতীয়তাবোধ তৈরী হওয়া।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.