(ছবিঃ মোর্শেদ আখতার বাদল (আমার সেঝ ভাই), আমাদের গ্রামের পাশে ইছামতি নদীর শাখা, একটি ছোট খাল)
একটি নদীকে ভালবেসেছি
দু’পাড়ে ছিল তার সুখের নীড়
সেই নদীর পাড়ে নীল আকাশে
নিঝুম দুপুরে গাং চিলেরা করত ভিড়।
দু’পাড়ে ছিল তার সুখের নীড়
সেই নদীর পাড়ে নীল আকাশে
নিঝুম দুপুরে গাং চিলেরা করত ভিড়।
কলসি কাঁখে সন্ধ্যা বেলা সে
শামুকের ঘুঙ্গুর বেঁধে পায়
জল নিতে আসতো ঘাটে
আঁচল উড়িয়ে দখিণা বায়।
সখীদের সাথে হেসে-খেলে,
দু’গালে টোল ফেলে
মুক্ত বলাকার মত চঞ্চল পায়ে
ফিরে যেত বাধানো তুলসী তলে।
দু’গালে টোল ফেলে
মুক্ত বলাকার মত চঞ্চল পায়ে
ফিরে যেত বাধানো তুলসী তলে।
সন্ধ্যা প্রদীপ জ্বেলে ঘরে
আঁচলে জড়িয়ে দেহলতা
প্রণাম সেরে দেবতায় নীরবে
কি বর চাইতো, জানি সে কথা।
সে ছিল আমার মানসী,
শান্ত নদীর বালুকা বেলায়
তারই সাথে বসে দু’জনে
স্বপ্ন সাগরে ভেসেছি কত স্বপ্ন ভেলায়।
চন্দন টিপে আর সিঁদুরে সেজে
শ্বেত-শুভ্র শাখা হাতে
আসবে সে ঘরে পথ খুঁজে।
শান্ত নদীর বালুকা বেলায়
তারই সাথে বসে দু’জনে
স্বপ্ন সাগরে ভেসেছি কত স্বপ্ন ভেলায়।
চন্দন টিপে আর সিঁদুরে সেজে
শ্বেত-শুভ্র শাখা হাতে
আসবে সে ঘরে পথ খুঁজে।
ভরে দিবে আমার আঙ্গিনা,
মন মাতানো গন্ধ বিধুর ধুপে
বসন্ত বাসর ছুটে আসবে
দুয়ারে রিনিঝিনি সুরে।
মন মাতানো গন্ধ বিধুর ধুপে
বসন্ত বাসর ছুটে আসবে
দুয়ারে রিনিঝিনি সুরে।
মানুষের সাথে মানুষ হয়ে
ঘর বাধবো মানুষের মত
আমি আর মালতী
মুছে দিব দু,জনার বেদনা যত।
সোনালী প্রেমের বাগানে
ফুটবে নতুন কুড়ি,
বনে বাদাড়ে ঘুরে কুড়িয়ে
আনবে ভরে ফুলের ঝুড়ি।
বসন্ত না আসিতে কাল বৈশাখী
এলো জাতের ঝড় তুলে
হিন্দু মুসলিম আর বৌদ্ধ খৃস্টানের
মিথ্যে ভেদা ভেদে মানুষের জাত ভুলে।।
ফুটবে নতুন কুড়ি,
বনে বাদাড়ে ঘুরে কুড়িয়ে
আনবে ভরে ফুলের ঝুড়ি।
বসন্ত না আসিতে কাল বৈশাখী
এলো জাতের ঝড় তুলে
হিন্দু মুসলিম আর বৌদ্ধ খৃস্টানের
মিথ্যে ভেদা ভেদে মানুষের জাত ভুলে।।
*** আমাদের এই দেশ আমাদের কাছে একটু খানি ভালবাসা ছাড়া আর কিছুই চায়না!
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.