আমাদের প্রিয় এই তিলোত্তমা ঢাকা মহা নগরীর পাশে দিয়ে বয়ে চলেছে বুড়িগঙ্গা নদী। যেখানে এক সময় ভেসে থাকত রাজকীয় কোন নৌ বহর কিংবা জলকেলী করত রাজ হংসের দল। অথবা ভিন্ন ভাবেও বলা যায় এই প্রিয় নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে তিলে তিলে আমাদের প্রিয় তিলোত্তমা ঢাকা মহা
নগরী। আমাদের অনেক স্বপ্নের বাংলাদেশের রাজধানী। কিন্তু দেখুন এই প্রিয় নদীর কি অবস্থা। যারা এর আশে পাশে থাকেন তারা অহরহই দেখছেন আর ক্ষতবিক্ষত হচ্ছেন নিশ্চয়। কিন্তু যারা এই নদীকে এই ভাবে হত্যা করছে তারা কি কখনও ভেবে দেখেছে তাদের অবস্থান রাজাকারের চেয়েও কত ভয়াবহ !! আমরা রাজাকারের বিচার চাইছি ( প্রকারান্তরে এটা কোন দিন আদৌ হবে কি না তা যারা প্রশাসনের শীর্ষে রয়েছেন বা থাকছেন তারাই জানেন) আমরা দেখছি কথিত রাজাকারেরা আজ দেশের বড় বড় ব্যবসা সহ বড় বড় পদে অধিষ্ঠিত হয়ে আছেন। এটা নিশ্চয় তাদের কৃতিত্ব, তারা সবার পা চেটে হোক বা যে ভাবেই হোক সব সময় ভাল থাকতে পারে।
এই ছবিতে লাল চিহ্নিত অংশের স্বাভাবিক রঙ থাকবে সবুজ, দীর্ঘ দিন পানিতে থেকে এই ধরনের জায়গায় শ্যাওলা জাতীয় এক প্রকার উদ্ভিদ জন্মায় ইংরেজিতে একে বলে ম্যারিন গ্রোথ। কিন্তু বুড়ি গংগার দুষনের ফলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় এর রঙ হয়েছে এমন ধূসর এবং পানির রঙ হয়েছে কাল। এখন বুঝুন কতখানি দুষিত হলে এমন হতে পারে।
মানুষ মানুষের জন্য। এই মহা বাণী আমরা আজীবন পড়ে আসছি। কিন্তু দেখুন এই জীবিত মানুষটি কি ভাবে আবর্জনার স্তুপের উপর পরে রয়েছে !!!!! আমি সেদিন পাশে দিয়ে গাড়িতে করে যাবার পথে এই ছবিটি নিয়েছি। ছবিটি ফতুল্লা এলাকা থেকে নেয়া। দিনে দুপুরে এর আশে পাশে অনেক মানুষ কাজ করছিল।হতে পারে সে নেশা গ্রস্ত বা ভিন্ন কোন উপায়ে অস্পৃশ্য। কিন্তু সে কি মানুষ নয়?
আজকের এই সভ্যতার চরম বিকশিত দিনে মধ্যযুগীয় বর্বরের মত কেউ কাউকে এভাবে ঝুলিয়ে (নিচের লাল চিহ্নিত অংশ দেখুন) বেঁধে রেখেছে এমন করে ভাবা যায়? কোন মানুষ অপরাধী হয়ে জন্মায় না, জন্মে অপরাধী হয়। পরিবেশ, পরিস্থিতি তাকে অপরাধী করে দেয়। এই মানুষটি যে অপরাধ করেছে তার বিচারের জন্য দেশে রয়েছে পুলিশ, সরকার কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে যাদের জন্য। চুরি করা কারো নেশা নয় পেশা। এমন ঘৃণিত পেশা একজন আশরাফুল মখলুকাত কেন বেছে নিবে? একে চুরির অপরাধে যার নির্দেশে এভাবে ঝুলিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে তিনি একজন রাজাকার এবং বর্তমানে মেহেদী রাঙ্গা দাড়ি রাখা মাথায় টুপি পরে থাকা কর্তা ব্যক্তি।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.