আজকের বিষয়ঃ প্রকৃতি এবং শীল্প
ইনকাদাতে জাপানের আওমরি প্রিফেকচার এর একটি গ্রামের নাম। মাত্র ৮৭০০ জন লোকের এই গ্রামটি একটি বিশেষ কারণে সাড়া পৃথিবীতে পরিচিতি লাভ করেছে। সেটি হলো ধান ক্ষেতের ছবি। না, কৃষকেরা এই ছবি তৈরীতে কোন রং ব্যবহার করে না। আসলে এই চিত্রকর্মের মূলে যে বিষয়টা আছে, তা হচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের ধানের ব্যবহার।এই গ্রামটির কৃষকেরা ১৯৯৩ সাল থেকে তাদের জমিতে বিভিন্ন রংয়ের ধান লাগিয়ে ধান ক্ষেতটিকে একটি ছবির মতো করে তোলে।
কৃষকেরা সাধারণতঃ হালকা বেগুনী এবং হলুদ পাতার (কোদাইমাই ধান) ধানের সাথে লোকাল গাঢ় সবুজ রংয়ের (সুগারু রোমান ধান) যে ধান আছে তা ব্যবহার করে। যখন বিভিন্ন রংয়ের ধান গাছ গুলো বড় হয় তখন পুরো মাঠ জুড়ে ফুটে উঠে আর্শ্চয জনক এই ছবি। প্রতি বছরই ছবির বিষয় বস্তু পরিবর্তন করা হয়। আর এ ছবি দেখতে সাড়া পৃথিবী থেকে ছুটে আসে মানুষ। কোন এক বছর এসেছিলো প্রায় ১,৫০,০০০ জন। প্রতি বছর মে মাসের দিকে এই চিত্রর্কমটি শুরু হয়। আর ধান কাটা হয় সেপ্টেম্বর মাসে।
সেনগাকু পিরিয়ডের অশ্বারোহী যোদ্ধার ছবি…
ছবিটি কাছ থেকে দেখলে যেমন মনে হয়…
আরো কাছ থেকে…
নিচে ধান লাগান হচ্ছে।
ধীরে ধীরে ছবি ফুটে উঠছে।
২০০৭ সালে জাপানের বিখ্যাত দুইটি হকুসাই চিত্রের আদলে করা হয় এই ধানক্ষেতের চিত্রর্কমটি। সত্যিকারের হকুসাই ছবি দুইটি…
এতে চারটি ভিন্ন জাতের ধান ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে দেখে আসি সেই বিখ্যাত কাজের কিছু দুর্লভ মুহুর্তঃ
২০০৭ সালের সেই ছবির ধান কাটার জন্য প্রায় ৯০০ জন স্বেচ্ছাসেবক যোগ দেয়।
এই ইনকাদাতে গ্রামের দেখাদেখি জাপানের অন্যান্য বেশ কিছু গ্রামেও এ বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রচলন শুরু হয়েছে ইয়ামাগাতা, আইচি প্রিফেকচারে।
ইয়ামাগাতা-র আরেকটি ছবি…
কৃষকেরা মাঠে মোনালিসাকেও একেঁছিলো…
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে কৃষকেরা এই চিত্র কর্ম তৈরী করতে কোন আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করেন না। চিত্রকর্মের এই বিষয়টি দিন দিন হয়ে উঠছে জাপানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
এ বছর কিন্তু এখনো ধান কাটা হয়নি। তাই যদি দেখতে চান যেতে পারেন ইনকাদাতে গ্রামে। সবাই ভালো থাকবেন, সবার জন্য শুভেচ্ছা।
(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)
ইনকাদাতে জাপানের আওমরি প্রিফেকচার এর একটি গ্রামের নাম। মাত্র ৮৭০০ জন লোকের এই গ্রামটি একটি বিশেষ কারণে সাড়া পৃথিবীতে পরিচিতি লাভ করেছে। সেটি হলো ধান ক্ষেতের ছবি। না, কৃষকেরা এই ছবি তৈরীতে কোন রং ব্যবহার করে না। আসলে এই চিত্রকর্মের মূলে যে বিষয়টা আছে, তা হচ্ছে বিভিন্ন রংয়ের ধানের ব্যবহার।এই গ্রামটির কৃষকেরা ১৯৯৩ সাল থেকে তাদের জমিতে বিভিন্ন রংয়ের ধান লাগিয়ে ধান ক্ষেতটিকে একটি ছবির মতো করে তোলে।
কৃষকেরা সাধারণতঃ হালকা বেগুনী এবং হলুদ পাতার (কোদাইমাই ধান) ধানের সাথে লোকাল গাঢ় সবুজ রংয়ের (সুগারু রোমান ধান) যে ধান আছে তা ব্যবহার করে। যখন বিভিন্ন রংয়ের ধান গাছ গুলো বড় হয় তখন পুরো মাঠ জুড়ে ফুটে উঠে আর্শ্চয জনক এই ছবি। প্রতি বছরই ছবির বিষয় বস্তু পরিবর্তন করা হয়। আর এ ছবি দেখতে সাড়া পৃথিবী থেকে ছুটে আসে মানুষ। কোন এক বছর এসেছিলো প্রায় ১,৫০,০০০ জন। প্রতি বছর মে মাসের দিকে এই চিত্রর্কমটি শুরু হয়। আর ধান কাটা হয় সেপ্টেম্বর মাসে।
সেনগাকু পিরিয়ডের অশ্বারোহী যোদ্ধার ছবি…
ছবিটি কাছ থেকে দেখলে যেমন মনে হয়…
আরো কাছ থেকে…
নিচে ধান লাগান হচ্ছে।
ধীরে ধীরে ছবি ফুটে উঠছে।
২০০৭ সালে জাপানের বিখ্যাত দুইটি হকুসাই চিত্রের আদলে করা হয় এই ধানক্ষেতের চিত্রর্কমটি। সত্যিকারের হকুসাই ছবি দুইটি…
এতে চারটি ভিন্ন জাতের ধান ব্যবহার করা হয়। চলুন তাহলে দেখে আসি সেই বিখ্যাত কাজের কিছু দুর্লভ মুহুর্তঃ
২০০৭ সালের সেই ছবির ধান কাটার জন্য প্রায় ৯০০ জন স্বেচ্ছাসেবক যোগ দেয়।
এই ইনকাদাতে গ্রামের দেখাদেখি জাপানের অন্যান্য বেশ কিছু গ্রামেও এ বিষয়টি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। প্রচলন শুরু হয়েছে ইয়ামাগাতা, আইচি প্রিফেকচারে।
ইয়ামাগাতা-র আরেকটি ছবি…
কৃষকেরা মাঠে মোনালিসাকেও একেঁছিলো…
তবে সবচেয়ে আশ্চর্যজনক বিষয় হচ্ছে কৃষকেরা এই চিত্র কর্ম তৈরী করতে কোন আধুনিক টেকনোলজি ব্যবহার করেন না। চিত্রকর্মের এই বিষয়টি দিন দিন হয়ে উঠছে জাপানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি।
এ বছর কিন্তু এখনো ধান কাটা হয়নি। তাই যদি দেখতে চান যেতে পারেন ইনকাদাতে গ্রামে। সবাই ভালো থাকবেন, সবার জন্য শুভেচ্ছা।
(তথ্যসূত্রঃ ইন্টারনেট)
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.