আম বাগানের ধারে
পদ্মা নদীর পাড়ে
দাঁড়িয়ে ছিলাম সন্ধ্যা বেলা
সঙ্গী বিহীন আমি একেলা।
পদ্মা নদীর পাড়ে
দাঁড়িয়ে ছিলাম সন্ধ্যা বেলা
সঙ্গী বিহীন আমি একেলা।
একটু পরে পুব আকাশে উঠে এলো চাঁদ
দূরে দেখি একটা শেয়াল লাফিয়ে এলো খাঁদ।
শেয়াল দেখে ভয় পেয়ে
দৌড়ে গেলাম আম বাগানে।
বুক করে ধর ফর আর পাতা সরসর
আর পারিনা চলতে আমি পা করে নড় বর।
দৌড়ে গেলাম আম বাগানে।
বুক করে ধর ফর আর পাতা সরসর
আর পারিনা চলতে আমি পা করে নড় বর।
শেয়াল মশাই ডাকে হুক্কা হুয়া
বাগানের দারোয়ান কালু বলে কিয়া হুয়া?
ঝোপের ভিতর কে রে ওধার
করিস কি আম পাচার?
কালু মিয়ার হাক শুনে
বেড়ে গেল ধরফরানি তিন গুনে।
সাহস করে চ্যঁচিয়ে দিলাম সারা
ও ভাই কালু শেয়ালে করেছে তাড়া,
তুই বাঁচা মোরে বাঁচা
প্রাণটা বুঝি গেল ছেড়ে খাঁচা।
বেড়ে গেল ধরফরানি তিন গুনে।
সাহস করে চ্যঁচিয়ে দিলাম সারা
ও ভাই কালু শেয়ালে করেছে তাড়া,
তুই বাঁচা মোরে বাঁচা
প্রাণটা বুঝি গেল ছেড়ে খাঁচা।
ভুমিকাঃ অনেক অনেক দিন আগে যখন আম গাছে আম ধরত এবং আম বাগানের ধার থেকে শেয়াল পন্ডিত দৌড়ে পালিয়ে যেত তখন একবার রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। ওখানে একটা আম বাগান ঘুরে দেখার সময় দিনে দুপুরে এক পন্ডিত মশায়ের দেখা পেয়েছিলাম। দৌড়ে যাচ্ছেন। এর আগে কমলা, আপেল, আখরোট এ ধরনের অনেক বাগান দেখেছি কিন্তু নিজ দেশের আম বাগান এই প্রথম দেখা। খুব ভাল লাগল। এমন সুন্দর জায়গা নিয়ে কিছু না লিখলে মনটা কেমন কেমন যেন করছিল। রাতে খাবার পর হঠাত্ মনে এলো তাইতো, পন্ডিত মশায়কে নিয়েই দেখি কিছু লেখা যায় কিনা। তাই একটু খানি চেষ্টা করেছিলাম।
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.