Monday 19 November 2012

আমার গানের মালা, একা শ্রাবণে



বিঃদ্রঃ কি জানি কেন যেন আজকাল পল্লী গীতি আর শোনা যায় না। সম্ভবত যুগের টানে অথবা যে কোন কারণে প্রায় বিলীন হতে বসেছে, কোথায় গেল সেই আব্দুল আলিমের “নাইয়া রে নায়ের বাদাম তুইলা” কিংবা নিনা হামিদের কণ্ঠে “আষাঢ় মাইসা বিষ্টি রে ঝমঝমাইয়া পরে রে” কোথায় গেল। তারা আজ আর কোন আসরে বসে না বা তাদের নিয়ে কোন আসর জমে না।
অথচ এক সময় ছিল যখন আমাদের মা চাচীরা আব্দুল আলিমের গলায় রেডিওতে এই গান শোনার
জন্য সংসারের সব কাজ সেরে যাদের রেডিও নেই তারা যাদের রেডিও আছে তাদের বাড়িতে এসে বসে থাকতেন। আমার কলমে সাধারনত এই গান আসে না তবুও হঠাত করে যেন কি করে ২/৪টা গান এসে গেল আর আমার সহ কর্মি রেডিও এবং টিভি শিল্পী মনসুর ভাই তাতে সুর দিয়ে জীবিত করে ফেললেন। শুধু তাই না উনি আবার যেহেতু আমি রেডিওর নিবন্ধিত গীতিকার নই বিধায় সংগৃহিত দেখিয়ে রেডিওতে গেয়েও এলেন।
তবে আমার মনে হয় এগুলি আমাদের লোকজ সংস্কৃতি বলে এই সব গান ধরে রাখা দরকার। আমার লেখা এমন একটা গান তাহলে শুনে দেখুন-

সুর এবং কণ্ঠঃ খন্দকার মনসুর
গানের অডিও লিঙ্কঃ কও না রে মন মেঘের দিনে
কও না রে মন মেঘের দিনে
শাওন রাইতে গহিন বনে
তারে আমি কোথায় খুঁইজা পাই।।

সে যে আর আসে না ঘরে আমার
মন যে কেমন করে
কোথায় তারে খুঁইজা বেড়াই
কেমনে তারে দেখা পাই।।

গেল বারে কইল মোরে
আসবে ফাগুন মাসে
যে ফাগুনে বসবে মেলা
আমার বাড়ির পাশে।

শাওনের ওই মেঘের মত
আমার আউলা হইল ভাবনা যত
আইসা মনে ধরে সখী
কও না করি কি উপায়।।

No comments:

Post a Comment

Thank you very much for your comments.