Saturday 14 April 2012

আমার বাড়িতে পহেলা বৈশাখ-১৪১৯


আগের রাতেই মেয়েরা ঠিক করে রেখেছিল কি দিয়ে বছরের শুরু হবে।
সকালে একটু আলসেমি ভরা মেজাজ নিয়ে ঘুম ভেঙ্গে কারো কোন সারা শব্দ না পেয়ে টিভি রুমে গিয়ে দেখি সবাই টিভি দেখছে। জিজ্ঞেস করলাম তোমরা দিন শুরু করে দিয়েছ? না, তোমার জন্য অপেক্ষা করছি। তাহলে চল খাবার ঘরে।
সঙ্গে সঙ্গেই যাদু মন্ত্রের মত ইংরেজি টেবিলে বাংলা পান্তার আয়োজন এসে হাজির করল মা মেয়েরা। খেতে বসলাম। আমার বাবা, মেয়েরা এবং তাদের মা আর তার সহকারিণী। আগেই বলে নিই বড় মেয়েটা গেছে শসুর বাড়ি, তার নানি শাশুড়ী ক্যানসারে ভুগছে।
খাবার টেবিলে যা যা দেখলাম তার একটা ছবি নিলাম সবার মাঝে এই আনন্দের ছোয়া বিলিয়ে দেয়ার জন্য। উপরের ছবিতে নিশ্চয় দেখেছেনঃ পান্তা ভাত, চিংড়ি মাছের হাতে বানান ভর্তা, শুটকি ভর্তা, বেগুন আর পুটি মাছের চচ্চরি, ডাল ভর্তা, ইলিশ ভাজা আর তার সাথে বাড়ির ছাদে ফোটা গন্ধরাজ এবং গোলাপ রয়েছে।
গল্পে আর আড্ডার সাথে এগুলির সদ্ব্যবহার করে উঠে গরম চা আর সবার শেষে পান। মোবাইলে দেখলাম অনেকেই নব বর্ষের শুভেচছা জানিয়েছেন। দেখে ভাল লাগল, মনটা ভরে গেল অনাবিল আনন্দধারায়।
আমি তো জানালাম আমার দিন এবং একটি নতুন বছরের শুরুর ইতিহাস, আপনি? নিশ্চয়ই আনন্দের সাথে শুরু করেছেন। যারা বিদেশে আছেন তারা এমনটা শুধু কল্পনায়ই রেখেছেন অনেকেই বাস্তবে রূপ দিতে পারেননি জানি তবুও সবার জন্য আবার জানাচ্ছি অনন্ত শুভ কামনা। যে যে উদ্দেশ্য নিয়ে গিয়েছেন সবার মনের শুভ আশা গুলি পুরন করে দেশের সন্তান দেশে ফিরে আসুন, আবার জমবে মেলা। এমটাই প্রত্যাশা সবার জন্য।
বাংলা: বিভিন্ন রকমের ভর্তা। বাংলাদেশের খাবার।বাংলা: বিভিন্ন রকমের ভর্তা। বাংলাদেশের খাবার। (Photo credit: Wikipedia)
Enhanced by Zemanta

1 comment:

  1. It's a pity you don't have a donate button! I'd most certainly donate to this outstanding blog! I guess for now i'll settle
    for book-marking and adding your RSS feed to my Google account.
    I look forward to new updates and will share this website with my
    Facebook group. Talk soon!
    Also see my page - perfumes baratos

    ReplyDelete

Thank you very much for your comments.