প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে পৃথিবীর আনাচে কানাচে কত কি ঘটে যাচ্ছে সে খবর আমরা কতটুকুই বা রাখতে পারি! তারই যা আমার চোখে ধরা পরেছে তার কিছু এখানে তুলে দিলামঃ
১। অনেকেই নাম শুনেছেন আবার অনেকেই দেখেছেন এই নাগ চাপা কিংবা নাগেশ্বর।
যে কোন চাপা ফুলই দেখতে সুন্দর যেমন দোলন চাপা বা স্বর্ণ চাপা। সেদিন ওই যে যেদিন রিগন সাহেবকে সংবর্ধনা দেয়া হল সেদিন সাবেক রেসকোর্সের মাঠ দিয়ে যাবার সময় দেখলাম গাছে গাছে ফুটে রয়েছে অসংখ্য নাগ চাপা। থমকে দাঁড়ালাম। অনেকক্ষণ ঘুড়ে ঘুড়ে দেখলাম। এই সেই নাগ চাপা যার ছবি নিচে দেখছেনঃ-
২। যত ঝড় ঝাপটা যাই আসুক প্রকৃতি কিন্তু থেমে নেই সে তার দৈনন্দিন প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে অবিরত। কোন আলসেমি বা অনিয়ম তার নেই। তেমনি করে আমাদের জাতীয় ফল কাঠালের মুচি গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে। কয়েক দিন আগে ঢাকার কাছে ধামরাই এ আমার জন্মস্থান মামা বাড়ি গিয়েছিলাম, অনেক দিন পর। পুরনো স্মৃতি নিয়ে বাড়ির চারিদিকে ঘুড়ে দেখার সময় এই গাছটার নিচে এসে দাঁড়ালাম আর মন ভরে দেখলাম প্রকৃতির খেলা, এই মুচি আর ক'দিন বাদেই হয়ে উঠবে সুস্বাদু ফলেঃ-
৩। আমাদের তিলোত্তমা এই ঢাকা শহরে প্রতিদিন কত কি ঘটন অঘটন ঘটে চলেছে তারই একটা নমুনা রাস্তা খোরা খুরি। আশে পাশে দিয়ে কি করে মানুষজন চলাফেরা করবে সেদিকে কারো কোন খেয়াল নেই। যারা এই শহরে বসবাস করেন তারা প্রতিনিয়তই এসব দেখে আসছেন তবুও আর একটি দেখুনঃ-
৪। এই ঢাকা শহরের আরো একটি অবাক দৃশ্য। এক বয়স্ক ভদ্রলোক এই ভাবে বাঁশের পায়ে কি করে ফকিরা পুলের পাশের ব্যস্ত রাস্তা দিয়ে নির্দ্বিধায় অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে হেটে যাচ্ছেনঃ-
৫। আর একটি দৃশ্য, এই ভদ্রলোক ভাগ্যের পরিহাসে নির্মম দুর্ঘটনায় পরে পঙ্গু হয়ে এই ভাবে জনগনের কৃপা কুড়াচ্ছেন। সিটি হার্টের সামনে রাস্তার পাশে বসে চক দিয়ে রাস্তায় লিখে চলেছেন তার দূর্ঘটনার ইতিহাস, পাশে একটা অ্যালুমিনিয়ামের থালা যাতে পথচারীদের মধ্যে যাদের দয়া হচ্ছে তারা কিছু দিয়ে যাচ্ছেন। এই লোকটি বেশ শিক্ষিত বলেই মনে হল, তার হাতের লেখা এবং ইংরেজি বানান দেখে আমার তাই মনে হল। আমি সাধারণত এসব ক্ষেত্রে আলাপ করে কিছু জানার চেষ্টা করি কিন্তু একে কিছু জিজ্ঞেস করিনি, ভাবলাম যতক্ষণ সে আমার অবাঞ্ছিত কৌতূহলের জবাব দিবেন ততক্ষণ কিছু লিখতে পারবেন তাইঃ-
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.