Wednesday 10 February 2010

প্রলাপ



যদি বলি আমি কবিতা লেখা শিখতে চাই
আমাকে বলে মূর্খ,

যখন বলি কবিতার মাঝে সাবলীল ছন্দ চাই
আমাকে বলে বোকা।
যখন আমি জানতে চাই কেন আমি মূর্খ, কেন আমি বোকা?
আমাকে বলে, পংতির ছন্দ হয়েছে বন্ধ
আধুনিক কবিতা পড়না কেন, তুমি কি অন্ধ?
তামাশার ছলে যদিও বা বললো সেদিন
সেকেলে ভাষা ছেড়ে আমদানি কর নতুন কিছু শব্দ
হয়তোবা করতে পার রবি ঠাকুরকেও স্তব্ধ।
এখন দেখি তব, মম, তুহু, সম
এসব হয়েছে কবিতার যম।
এই সব শিখেছি অকারণে।
যদি না থাকে ছন্দ
কেন সেটা হোল না গদ্য?
যদি না থাকে ছন্দের মিল
মনে কেন হয় কবিতায় রয়ে গেল গরমিল?
এই সব প্রশ্ন নিয়ে ঘুরি দিনরাত
লিখতে যে আর চলে না হাত।
আধুনিকতা চলে শুনেছি ভাবে ভঙ্গিতে
এখন দেখি ওই কথা ভরে গেছে কবিতায় সঙ্গীতে।
আধুনিকতার ছলে এনেছি সেদিন বিদেশি কিছু শব্দ,
মায়ের ভাষায় নিজের নামটা
লিখতে না পেরে হয়েছি যেদিন জব্দ।
সেদিন থেকে লিখবো ভেবেছি নতুন ঢঙ্গে,
মুখোশ পরা প্রলেপ জড়ান আধুনিক রঙ্গে।
আধুনিক আধুনিক করে নিজেকে কেন করি বঞ্চনা
নিজের মাঝে নেই কি কোন ব্যঞ্জনা?
নিজের সৌরভ পারিনা কেন বিলাতে সকলের মাঝে
এ দুঃখের কথা মনে হলে নিজেই মরি লাজে।
মায়ের বুকের ছাড়ানো ছিটানো সোনা
কুড়িয়ে নিলে দেখা যাবে হাতে যায় না গোনা।
তবু কেন করি তাকে অবহেলা
কেন বিদেশি ঢং নিয়ে করি খেলা?
যুগান্ত সৃষ্টির নামে আপনাকে ভুলে
কি রচিতে চাই বুঝি না মনের দোদুল দোলে।

3 comments:

  1. এইতো হচ্ছে আজকাল।

    ReplyDelete
  2. বাংলায় যে সার্চ করা যায় জানতাম না দেখি এখন থেকে খুজে দেকব।

    ReplyDelete
  3. বাহ! তো বেসতো বলছিলেন কিছু লিখতে মন বসছে না! এখন! কবিতা, গান এগুলো নিজের মনের আনন্দে লেখা। নিজে আনন্দ পাওয়াটাই আসল। কিন্তু যদি অন্যকেও টানতে হয় তবেতো কথা অন্য হবে। অন্যের দাবিও মানতে হবে। তখন হয় ছন্দ বা ব্যঞ্জনাতে একটু শান দিতে হবে। নইলে অন্যে আপনার আনন্দের ভাগী নাও হতে পারে। যেমন শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা অন্যকে প্রভাবিত করবার জন্যে জরুরি, যেমন শুদ্ধ বানান বাক্যে লেখা উচিত যদি অন্যকে পড়ে বোঝাতে হয়, তেমনি কবিতাকে ছন্দবদ্ধতো হতেই হবে। চাইলে আমি তারো ক্লাস নিতে পারি। আর কিছু কবিতাতে মনে হয় ছন্দ নেই, তবু তা গদ্য হবে না, যদি সেখানে তথ্য থেকে ব্যঞ্জনাটাই তাতে বড় হয়।

    ReplyDelete

Thank you very much for your comments.