উপরে ফুল কফি ও সীম দিয়ে রুই মাছের ঝোল
বড় মাছ যেমন, রুই, পাঙ্গাশ, বোয়াল, ইলিশ ইত্যাদিঃ
যা যা প্রয়োজনঃ
(৬৫০ গ্রাম মাছের জন্য) ১ টা বড় পিয়াজ কুচি, কয়েকটা আস্ত কাচা মরিচ, এক টেবিল চামচ আদা, আধা চামচ রসুন, দুই চামচ শুকনো মরিচের গুড়া, চা চামচের আধা চামচ হলুদ গুড়া, এক চামচ ধনে গুড়া, এক চামচ জিরা গুড়া, ১ টা তেজ পাতা। তেজ পাতা, পিয়াজ ও কাচা মরিচ বাদে সব মশলা একটা বাটিতে নিয়ে গড়ম পানিতে কিছুক্ষন ভিজিয়ে রাখুন সাথে দুই চার ফোটা লেবুর রস বা কাল ভিনিগার দিতে পারেন। এতে ফ্রীজে রাখা গন্ধ কিছুটা হলেও কমে।
উপরের নিয়মে মাছ ভালো করে ধুয়ে নিন। পানি ঝড়িয়ে রান্নার উপযুক্ত পরিমান লবনের অর্ধেক এবং সামান্য তেল সহ উপরের ভেজানো মশলা থেকে অর্ধেক মশলা দিয়ে মাছ গুলি মাখিয়ে রেখে দিন অন্তত ১ ঘন্টা। কড়াইতে তেল গড়ম হলে পেয়াজ কুচি ছেড়ে দিন সাথে তেজ পাতা ও বাকি অর্ধেক লবন দিয়ে দিন। পিয়াজ বাদামি রঙ হয়ে এলে মশলা কসিয়ে নিন। মশলা কসানোর সময় ২/১ টা টমাটো দিতে পারেন। যদি কোন শব্জী দিতে চান তাহলে এখন তা দিয়ে মশলার সাথে একটু কসিয়ে নিন। এগুলি কসানো হলে মাছ ছেড়ে দিন। যে গামলা বা বাটিতে মশলা মাখানো মাছ রেখেছিলেন সেটি সামান্য পানি দিয়ে ধুয়ে মাছের সাথে দিয়ে দিন। হালকা ভাবে নেড়ে কসানো মশলা মিশিয়ে নিন। চুলার আচ কমিয়ে ঢেকে দিন। মাঝে মাঝে নাড়বেন তবে চামচ দিয়ে নয়, ডেকচি ঢুলিয়ে। উপরে তেল ভেষে উঠলে মনে করবেন রান্না হয়ে গেছে। এবার উপরে ধনে পাতা বা ভাজা জিরা গুড়া ছিটিয়ে জ্বাল নিভিয়ে কিছুক্ষন ঢেকে রাখুন। যদি কোন শব্জী না দেন তাহলে ধনে পাতা বা ভাজা জিরার পরিবর্তে আগে ভেজে রাখা কিছু পিয়াজের বেরেস্তা ছড়িয়ে দিতে পারেন।
এখানে বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে ইলিশ মাছের ক্ষেত্রে রসুন দিলে ইলিশের ঘ্রান থাকেনা তাই রসুন না দেয়েই ভালো।
আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আপনাদের কাজে লাগলেই আমার শ্রম সফল হবে। আবার ধন্যবাদ।
ReplyDelete