Monday 3 December 2012

মৌন সঙ্গীত-১৯

আজকের বিষয়ঃ সোনার খনি রূপার খনি
 DSC01121
 ১।‘নেচারাল হিস্ট্রি মিউসিয়াম লন্ডন’
আহা, আমার যদি একটা সোনার খনি থাকত তা হলে এর অর্ধেকটা সব ব্লগার ভাই বোনদের মাঝে বিলিয়ে দিতাম আর বাকী অর্ধেক দিয়ে সারা জীবন পায়ের উপর পা রেখে দামী গাড়িতে সারা ঢাকা শহর ঘুরে বেড়াতাম আর প্রতি দিন কোর্মা পোলাও বিরিয়ানি খেয়ে দিন কাটাতাম। কিন্তু দুঃখের বিষয় বিধাতার তেমন কোন সদিচ্ছা বা অনিচ্ছা কোনোটাই নেই তাই আমার কোন সোনার খনিও নেই।

আমার একটা ধারনা ছিল খনি থেকে যখন ইচ্ছা তখনই এক কেজি বা ১০ কেজি বা ১০০ কেজি সোনা তুলে বাজারে নিয়ে বিক্রি করলেই হয়ে গেল। কিন্তু আমার সে ধারনা এক্কে বারে বদলে গেল সে দিন যে দিন লন্ডনের গ্লস্টার রোড টিউব স্টেশনের কাছে ২৮ নম্বর কুইন্স গেটে বাংলাদেশ হাই কমিশনে একটা কাজের জন্য পাসপোর্ট আর একটা ফর্ম জমা দিয়ে শুনলাম ‘তিন ঘন্টা পর এসে পাসপোর্ট নিয়ে যান’ সেই দিন। তা এই তিন ঘন্টা!! এত বিশাল সময় আমি একা কি করব?এক বন্ধুকে ফোন করে বললাম তোমার তো এখন কোন কাজ নেই তা এদিকে একটু আস কোকের বোতল হাতে নিয়ে ঘুরি নয় তো পার্কে বসে গপ্প করে সময় কাটাই।

শুনেই ও বলল তুমি এখনো সেই আস্ত বোকাই রয়ে গেলে!
কেন আমি আবার কি বোকামি করলাম?
আরে বেকুব, আমাকে ওখানে যেতে বলছ কেন, গাড়ি না নিয়ে টিউবে করেও যদি যাই তাহলেও আমার বাড়ি থেকে ওখানে যেতে ১ ঘন্টার বেশি লেগে যাবে। তার চেয়ে ওখানে একটু এগিয়ে মেইন রোডে গিয়ে দেখ ওখানে তিনটা মিউজিয়াম বা ওই যে তোমরা বল জাদু ঘর তাই আছে ওর যে কোন একটাতে ঢুকে পর দেখবে তোমার আক্কেলের বস্তাও একটু বড় হবে আর সেই সাথে কোথা দিয়ে তিন ঘন্টার পাহাড় পার হয়ে যাবে টেরও পাবে না।
তাই নাকি?
হা, যাও আমাকে এখন ডাকা ডাকি করো না।

আচ্ছা ঠিক আছে দেখি কি এমন যাদু দেখাবে।
বলে ফোনটা বন্ধ করে পকেটে রেখে একটু হেঁটে এগিয়ে দেখি মেইন রোডের পারেই আমার বাম দিকে পার্কের পাশে একটা মিউজিয়ামের মত দেখাচ্ছে। রাস্তাটা পাড় হয়ে সামনে এসে দেখি লন্ডনের ‘নেচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম’ কোন টিকেটের ঝামেলা নেই মাগনা দেখা যাবে তো আর চিন্তা কি? ঢুকে পরলাম। একটু একটু করে হাঁটছি আর সামনে দেখলাম দোতলায় যাবার সিঁড়িতে ডারউইন সাহেব বসে আছে। জানতে চাইলাম কি দাদা বান্দরের উস্তাদ, কেমুন আছ? তা তিনি কোন উত্তর দিলেন না। আমার মনে হয় উনি বাংলা শেখেননি তাই একটু লজ্জা পেলেন।


DSC01119

তাকে পিছনে রেখে ভিতরে ঢুকে পরলাম। আহ! কি সৌভাগ্য!! সোনার খনি!!! দেখেই পাগল হবার অবস্থা। দেখি খনি নয় খনি থেকে কাঁচা অবস্থায় সোনা রূপা ইত্যাদি নানা কিছু তুলে এনে কাঁচের বাক্সের ভিতরে সাজিয়ে রেখেছে। যাক বাবা যা আছে তাই বা কম কি? জীবনে কোন দিন যা দেখি নাই তা আজ নিজের স্বচক্ষে দেখা কি কম কথা??
দেখুন তো আমার মত আপনারাও কেউ পাগল হতে পারেন কিনা?
(কোনটা কিসের খনি এবং কোথা থেকে এসেছে তা লেখা আছে বলে আমি আলাদা করে কিছু লিখলাম না। এই লেখালেখির কথাটা মাথায় রেখেই ছবিগুলি তুলেছি।)
২।
DSC01118
৩।
DSC01117
৪।
DSC01116
৫।
DSC01115
৬।
DSC01114
৭।
DSC01113
৮।
DSC01111
৯।
DSC01110
আবার দেখা হবে। এ পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন এবং সোনার খনি পেলে কোন গহনা কতটা বানাবেন সেই মুসাবিদা করুন!

No comments:

Post a Comment

Thank you very much for your comments.