এই সোনার বাংলার আনাচে কানাচে অলিতে গলিতে দিবারাত্র কত কি ঘটে যাচ্ছে কে কার খবর রাখে। আমি সেদিন ভাবছিলাম ব্রিটেনের আর্থিক দিনকাল খুব খারাপ যাচ্ছে। তাই ওরা যদি ওদের BBC বিক্রি করে দিত তাহলে আমি সারে চার স্টারলিং পাউন্ড দিয়ে কিনে এই সব খবর পাবলিক এবং জনগনকে
জানাতাম। কিন্তু ওদের দুর্মতি দেখা দিল ওরা বিবিসি বিক্রি করবে না। সে যাক বিক্রি করুক বা না করুক এদিকে আমাদের সাহাদত উদরাজী ভাই এ দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে বলে আমিও ওদিক থেকে সরে এসেছি। সাহাদত ভাই তার ছোট ছোট কথামালায় [আমি নাম দিয়েছি "উদরাজী ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন" ] চমত্কার ভাবে এগুলি প্রচার করে যাচ্ছে।
কিন্তু সাহাদত ভাই একা একা কুলিয়ে উঠতে পারছে না, অনেক খবর এদিক ওদিক দিয়ে পিছলে আমার চোখেও দুই একটা ঘটনা পরে যাচ্ছে তাই আপনাদের সামনে হাজির করলাম আজকের প্রবহমাণেঃ-
১। নিচে দেখুন যে ঢাকা শহরে একজনের ঘুমের জন্য তৈরী হচ্ছে বৃক্ষ বিছানা সেই ঢাকা শহরে আর এক জন ঘুমাচ্ছে ফুটপাথে। ছবিটি রেল ভবনের সামনে থেকে নেয়া। এখন বলুন কার ঘুম গভীর? কে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে আর কে ঘুমের ওষুধ চিনেই না? জীবন পুষ্প শয্যা নয় বলে কি জীবনকে ফুটপাথ শয্যা হতে হবে?-
[উপরের ছবিটি উপরে উল্লেখিত ঘুমের বিছানা, ধনীদের জন্য]
২। আমি অফিসে যাবার সময় ফতুল্লা দাপা ঘাটে গাড়ি যেখানে দাঁড়ায় তার পাশে প্রতিদিনই দেখি মায়ের পাশে বসে জীবনের সাথে যুদ্ধ করার কৌশল শিখে নিচ্ছে এই ক্ষুদে ভবিষ্যত যোদ্ধা। আজ তার যাবার কথা ছিল স্কুলে কিন্তু নিয়তি তাকে দিয়ে কি সুন্দর করে আমার এই লেখার খোরাক জুটিয়ে দিয়েছে-
৩। গত কাল অফিস থেকে ফেরার পথে শাহবাগ ফুল বাজারের কাছে সিগনালে গাড়ি দাড়িয়েছে আর দেখলাম আমার জানালার পাশে দিয়ে মলিন মুখে এই ছেলেটা মুখে ব্যান্ডেজ আর হাতে ফুল নিয়ে চলে যাচ্ছে। আপনারা যারা ওই পথে যাতায়াত করেন তাদের কেউ হয়ত ওকে দেখে থাকবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির দরজা খুলে ওকে ডাকলাম।
নামঃ কালাম, বাবা রিকশা চালায় এবং আরেক মাকে নিয়ে থাকে। ও কখন গেলে তাড়িয়ে দেয়। ঘরে ঢুকতে দেয় না। নিজের মা নেই। কয়েক দিন আগে এই রাস্তায় ফুল বিক্রির সময় এক গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পরে গিয়ে এই অবস্থা। গায়ের জামা খুলে আরো কিছু ব্যান্ডেজ দেখাল। দেখাবার সময় ব্যাথায় মুখ বিকৃত হয়ে গেল। চেয়ে চেয়ে দেখলাম। মায়ের সোহাগ পায়নি। বাবার স্নেহ বঞ্চিত এই কালাম কি অপরাধে এই জীবন বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে?
৪। আমরা কতটা সভ্য হয়েছি কেউ বলতে পারেন? যেখানে মেয়েদেরকে এই ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছবিটি বেশ কয়েক দিন আগে ঢাকার ঠাটারি বাজারের পাশের রাস্তা থেকে নেয়াঃ [চলন্ত গাড়িতে বসে তারা হুরো করে নেয়া বলে ছবিটি ঝাপসা এসেছে]
৫। চলা পথে এমন অনেক কিছু দেখা যায় যার সব কিছু ধরা যায় না। কিন্তু এই তেলবাহী লরির পিছনে অনেকক্ষণ রাস্তা জ্যামে আটকে ছিলাম বলে ছবিটা নিতে পেরেছি। উপরের [নীল দাগের ভিতর]লেখাটি দেখুন-
৬। কোন কোন কর্ম ক্ষেত্রে এমন বানী লেখা থাকে কিন্ত সুখের বিষয় হচ্ছে এগুলি শুধু শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য। মালিক বা উপরের কর্মচারীদের [ উপরের কর্মচারীরাও বেতন ভুক্ত বলে কর্মচারী বললাম] জন্য এ লেখা পালন করা হারাম তূল্য। এমনকি এদের কোন আইন বা নিয়ম মানতে হয় না। সব চেয়ে ভয়ঙ্কর হছে এই কয়েক লক্ষ টাকার বেতন ভুক্ত কর্মচারিগুলি, এরা মালিকের জন্যেও যেমন ভয়ঙ্কর তেমনি কর্মচারীদের জন্য-
জানাতাম। কিন্তু ওদের দুর্মতি দেখা দিল ওরা বিবিসি বিক্রি করবে না। সে যাক বিক্রি করুক বা না করুক এদিকে আমাদের সাহাদত উদরাজী ভাই এ দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে বলে আমিও ওদিক থেকে সরে এসেছি। সাহাদত ভাই তার ছোট ছোট কথামালায় [আমি নাম দিয়েছি "উদরাজী ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন" ] চমত্কার ভাবে এগুলি প্রচার করে যাচ্ছে।
কিন্তু সাহাদত ভাই একা একা কুলিয়ে উঠতে পারছে না, অনেক খবর এদিক ওদিক দিয়ে পিছলে আমার চোখেও দুই একটা ঘটনা পরে যাচ্ছে তাই আপনাদের সামনে হাজির করলাম আজকের প্রবহমাণেঃ-
১। নিচে দেখুন যে ঢাকা শহরে একজনের ঘুমের জন্য তৈরী হচ্ছে বৃক্ষ বিছানা সেই ঢাকা শহরে আর এক জন ঘুমাচ্ছে ফুটপাথে। ছবিটি রেল ভবনের সামনে থেকে নেয়া। এখন বলুন কার ঘুম গভীর? কে ঘুমের ওষুধ খেয়ে ঘুমাচ্ছে আর কে ঘুমের ওষুধ চিনেই না? জীবন পুষ্প শয্যা নয় বলে কি জীবনকে ফুটপাথ শয্যা হতে হবে?-
[উপরের ছবিটি উপরে উল্লেখিত ঘুমের বিছানা, ধনীদের জন্য]
২। আমি অফিসে যাবার সময় ফতুল্লা দাপা ঘাটে গাড়ি যেখানে দাঁড়ায় তার পাশে প্রতিদিনই দেখি মায়ের পাশে বসে জীবনের সাথে যুদ্ধ করার কৌশল শিখে নিচ্ছে এই ক্ষুদে ভবিষ্যত যোদ্ধা। আজ তার যাবার কথা ছিল স্কুলে কিন্তু নিয়তি তাকে দিয়ে কি সুন্দর করে আমার এই লেখার খোরাক জুটিয়ে দিয়েছে-
৩। গত কাল অফিস থেকে ফেরার পথে শাহবাগ ফুল বাজারের কাছে সিগনালে গাড়ি দাড়িয়েছে আর দেখলাম আমার জানালার পাশে দিয়ে মলিন মুখে এই ছেলেটা মুখে ব্যান্ডেজ আর হাতে ফুল নিয়ে চলে যাচ্ছে। আপনারা যারা ওই পথে যাতায়াত করেন তাদের কেউ হয়ত ওকে দেখে থাকবেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির দরজা খুলে ওকে ডাকলাম।
নামঃ কালাম, বাবা রিকশা চালায় এবং আরেক মাকে নিয়ে থাকে। ও কখন গেলে তাড়িয়ে দেয়। ঘরে ঢুকতে দেয় না। নিজের মা নেই। কয়েক দিন আগে এই রাস্তায় ফুল বিক্রির সময় এক গাড়ির ধাক্কায় ছিটকে পরে গিয়ে এই অবস্থা। গায়ের জামা খুলে আরো কিছু ব্যান্ডেজ দেখাল। দেখাবার সময় ব্যাথায় মুখ বিকৃত হয়ে গেল। চেয়ে চেয়ে দেখলাম। মায়ের সোহাগ পায়নি। বাবার স্নেহ বঞ্চিত এই কালাম কি অপরাধে এই জীবন বোঝা বয়ে বেড়াচ্ছে?
৪। আমরা কতটা সভ্য হয়েছি কেউ বলতে পারেন? যেখানে মেয়েদেরকে এই ভাবে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছবিটি বেশ কয়েক দিন আগে ঢাকার ঠাটারি বাজারের পাশের রাস্তা থেকে নেয়াঃ [চলন্ত গাড়িতে বসে তারা হুরো করে নেয়া বলে ছবিটি ঝাপসা এসেছে]
৫। চলা পথে এমন অনেক কিছু দেখা যায় যার সব কিছু ধরা যায় না। কিন্তু এই তেলবাহী লরির পিছনে অনেকক্ষণ রাস্তা জ্যামে আটকে ছিলাম বলে ছবিটা নিতে পেরেছি। উপরের [নীল দাগের ভিতর]লেখাটি দেখুন-
৬। কোন কোন কর্ম ক্ষেত্রে এমন বানী লেখা থাকে কিন্ত সুখের বিষয় হচ্ছে এগুলি শুধু শ্রমিকদের জন্য প্রযোজ্য। মালিক বা উপরের কর্মচারীদের [ উপরের কর্মচারীরাও বেতন ভুক্ত বলে কর্মচারী বললাম] জন্য এ লেখা পালন করা হারাম তূল্য। এমনকি এদের কোন আইন বা নিয়ম মানতে হয় না। সব চেয়ে ভয়ঙ্কর হছে এই কয়েক লক্ষ টাকার বেতন ভুক্ত কর্মচারিগুলি, এরা মালিকের জন্যেও যেমন ভয়ঙ্কর তেমনি কর্মচারীদের জন্য-
No comments:
Post a Comment
Thank you very much for your comments.