Friday 30 November 2012

নক্ষত্রের গোধূলি-৩৮ (অধ্যায় ৪)

রাশেদ সাহেব উপরে এসে ফোন ধরলেন।
হ্যালো
ওপাশ থেকে মেঝো ভাইয়ের কণ্ঠ:
সালাময়ালেকুম, কেমন আছেন?
হ্যাঁ চলছে একরকম।
কাজকর্ম কেমন?
খুব কষ্ট, জীবনে অনেক কষ্টের কাজ করেছি কিন্তু এই কষ্ট তার কাছে কিছুই না। এখন বয়সও হয়েছে পারছি না। যা আছে তাও যদি একটু ধীরে সুস্থে হত করা যেত, তাহলে চলতো কিন্তু সবাই চায় বলার আগেই যেন রেডি হয়। কিচেনের সবাইতো অর্ডার করে তার মধ্যে মালিক হল তিন জন। একজন সেফ অন্য দুজন সামনে। সামনে থেকে এসে ওয়েটাররাও এটা ওটা করতে বলে। সবারই এক কথা ‘কুইক। তখন বিশ্রী ভাবে আজেবাজে কথা বলে। কাজ যেমন তেমন কথাগুলিই বেশি কষ্টের। কেউ সহজ করে কথা বলে না, সাধারণ কথা গুলিই বাঁকা করে বলবে অশ্লীল ভাবে। এদিকে হাত কেটে কুটে অবস্থা খারাপ।
হ্যাঁ, এটাই এদের স্বভাব। ওখানে গ্লোভস নেই?
না গ্লোভস দেখি না।
বলবেন গ্লোভসের কথা।

হ্যাঁ, ফিরোজও বলেছে বলতে বলা হয়নি। ভয় করে আবার কি বলে না বলে তাই আর বলিনি।
এমনি অন্য সময় কথাবার্তা আচার ব্যাবহার কেমন, গালাগালি করে?
এমনি অন্য সময় যা তা মেনে নেয়া যায় তবে শুনেছি বিজির সময় সেফ নাকি গালাগালি করে। আমি যেদিন এসেছি সেই শুক্র শনিবার সেফ ছিল না তাই দেখিনি কেমন, এখনো দেখছি ভালোই।
আচ্ছা চলুক এভাবে। প্রথম প্রথম একটু কষ্ট হবে আর বিশেষ করে আপ-নিতো অনেকদিন শুধু অর্ডার করেই এসেছেন এধরনের কাজের সাথে তো আপনার পরিচয় নেই, সামনে কাজ পেলেন না না?
না পেলাম না অবশ্য খুঁজতেও পারিনি তেমন করে। প্রথমেই যা পেয়েছি তাতেই চলে এসেছি। সামনের একটা কাজ পেয়েছিলাম কিন্তু সেটা আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে। ফিরোজ ওখানে যেতে নিষেধ করল বলল অত দূরে গিয়ে দরকার নেই এদিকে আসা যাওয়াতে অসুবিধা হবে তুমি মেইন ল্যান্ডেই থাকো। তাই আর গেলাম না। ও হ্যাঁ, ব্রিস্টলেও একটা পেয়েছিলাম তা বেতন কম। এখন মনে হচ্ছে ওখানে গেলেই ভালো হত। বেতন কম বলে ফিরোজ ওখানেও নিষেধ করেছে।
আচ্ছা যাই হোক আপাতত একটা দাঁড়াবার জায়গা তো হয়েছে পরে সুযোগ মত খুঁজে নিতে হবে। কিচেনের কাজ আপনি পারবেন না। আমি জানি এখানকার এসব কাজ হল অল্প বয়েসিদের জন্যে। দেখা যাক কিছু দিন থাকেন এভাবে। কাল ঈদ জানেন?
হ্যাঁ, এইমাত্র শুনলাম।

তা নামাজ কোথায় পরবেন, কিছু শুনেছেন?
না তেমন আলাপ হয়নি শুধু জানলাম যে সবাই লন্ডন অক্সফোর্ড চলে যাবে, মাত্র একজন থাকবে এখানে। কোথায় মসজিদ কিছু জানি না, শুনিনি এখনও।
আমরা লন্ডন যাবো
কোথায়, কখন?
ওর বোনের বাসায়, সকালেই যাব। সাথে কাজলও যাবে।
ও আচ্ছা।

মনে মনে ভাবছিলেন হয়ত বলবে যাবার সময় আপনাকে নিয়ে যাব। এই কথা বলার জন্যেই হয়তো ফোন করেছে কিন্তু সেরকম কিছু শোনার আগেই ওপাশ থেকে বলল
তো ঠিক আছে তাহলে রাখি, কি আর করবেন কষ্ট করতে এসেছেন আর একটু করেন। সামনের কাজে এতো কষ্ট না। পেলে চলে যাবেন, আচ্ছা সালামালেকুম।
খট করে লাইন কাটার শব্দ পেয়েও রিসিভার হাতে দাঁড়িয়ে রইলেন আরও কিছু শুনবে এই আশায়। না ওপাশ থেকে আর কোন কথা এলো না। রিসিভার নামিয়ে অনেকক্ষণ দাড়িয়ে রইলেন। সেদিনের সেই কথা মনে হল। মনিতো বলে গেছে দুঃস্বপ্ন মনে করে ভুলে যাবার চেষ্টা করতে। ভুলতে চেয়েছিল আবার কেন এই আঘাত? ওরা লন্ডন যেয়ে ঈদ করবে এই খবর শোনার জন্যে কি সে অস্থির হয়েছিল না কি এটা ওর জানা খুব জরুরি? তাহলে কেন, কেন আবার মনে করিয়ে দেয়া? ওখানে যা হয়েছে তা কি যথেষ্ট নয়? সেই ক্ষত সেরে উঠার মত সময় কি সে সারা জীবনে পাবে? তার পরেও আবার কেন? এ কি শুরু হোল তার জীবনে, কোন খেলা এটা? সেতো কখনো কারো সাথে এমন করেনি। কারো মনে আঘাত দেয়া তো দুরের কথা কারো সাথে উঁচু স্বরে কথাও বলেনি। কারো অমঙ্গল চিন্তা করতে পারে না সে, তার মনই সে ধাঁচে গরা নয়, এসব তার ভাবনায়ই আসে না। এ কোন পরীক্ষায় পরেছে কি ভাবে এর থেকে বেরিয়ে আসবে? মনে আছে ছোট বেলায় তার এক মামা তার এই নরম স্বভাব আর কোমল মন দেখে আফসোস করে বলেছিল
তোকে তো বড় কঠিন ভাবে জীবন পার করতে হবেরে ব্যাটা। এই কঠিন দুনিয়াতে এতো নরম হলে কি চলে? এদিকে আয় তোকে শক্ত হবার ট্রেনিং দেই আয়। এক কাজ কর ওই যে একটা ছেলে দেখছিস ওকে একটা ধমক দিতে পারবি? যদি তোর ধমক শুনে ও ভয় পায় তাহলে এক আনা পাবি।
না মামা আমি পারব না।
আরে যা না দিয়েই দেখ পারবি পারবি যা।

ধমক দিয়েছিলো কিন্তু ওই এক আনা পাবার মত হয়নি। কোথাও মারামারি দেখলেই তার বুকের ভিতর ঢিপ ঢিপ করত। দৌরে বাসায় এসে মায়ের আঁচলের তলায় লুকাত। তার হাঁপানি দেখে মা বুঝতেন কোথাও কিছু হয়েছে আর বকতেন এমন ছেলে কি করে চলবে এই দুনিয়াতে। সেই রাশেদ সাহেবের জীবনে এসব কি ঘটছে, কি হচ্ছে কি এসব? আমি কি করেছি? কি করেছি? ভাবতে ভাবতে রুমে এসে জ্যাকেটটা খুলে হুকে ঝুলিয়ে রেখে বিছানায় বসলেন। কতক্ষণ বসে ছিলেন মনে নেই। ভিড় কম বলে আজ একটু তাড়াতাড়িই রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে সবাই যার যার উৎসবে মেতে উঠার আনন্দে বাড়ির দিকে ছুটে যাবার পথে বের হয়ে গেল। নুরু এলো রুমে।
কি ভাই, কি ব্যাপার মন খারাপ নাকি?
কাছে এসে কাঁধে ঝাঁকুনি দিয়ে আবার বলল
আরে কাল ঈদ আর আপনি এখন মন খারাপ করে অন্ধকারে এভাবে বসে আছেন কেন? ও বাড়ির কথা মনে পরছে? না না ভাববেন না এতো ভাবার কি আছে? বিদেশে এতো মন খারাপ করে থাকবেন না এখানে তো আর কেউ নেই যে এসে দেখবে। উঠেন যান খেয়ে দেয়ে এসে নিচে কবিরের সাথে টিভি দেখেন বসে। আমি চললাম, ঈদ মোবারক।
নুরু চলে গেল। রাশেদ সাহেব একটা সিগারেট বানালেন। হাত দুইটাই টেবিলের উপরে এক হাতে সিগারেটটা ধরা। কবির এলো রুমে।
কি খবর নয়া ভাই সাব একলা কি করেন খাবেন না আজতো সেহেরি নাই আসেন খেয়ে আসি।
রাশেদ সাহেবের মুখে কথা নেই। কবির পাশে বসলো। মুখের দিকে তাকিয়ে বলে
কি ব্যাপার ভাই মন খারাপ?
না এমনিই।

নিজেকে সামলে নিয়ে বলল
তামাক খাবেন?
আমি বানাতে পারি না।
নেন আমি দেখিয়ে দেই।
কি তামাক এটা?
এরিনমোর।
বেশ ভালতো, একটু কড়া তবে গন্ধটা সুন্দর, এটা কি এখান থেকে নিয়েছেন?
না দেশ থেকে এনেছি, এখনো এখান থেকে কেনার দরকার হয়নি, আরও কিছুদিন চলবে।

তামাকের সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলে নিচে থেকে খাওয়া দাওয়া সেরে উপরে এসে কবির বলল চলেন টিভি দেখি
না ভাই আমার ভালো লাগছে না আমি শুয়ে পরবো আপনি দেখেন। আচ্ছা ভালো কথা কাল ঈদের নামাজ, কোথায় কখন যাবেন?
হ্যাঁ, যাবো। সকালে এই নয়টায় বের হয়ে অক্সফোর্ডে যেতে হবে জামাত হবে দশটায়।
তাহলে আমাকে নিয়ে যাবেন।
হ্যাঁ, আমি আর আপনে ইতো যাব। তাহলে এই কথাই রইলো আমি চলি এখন।

রাশেদ সাহেব উপরে এসে এবারে কাপর বদলিয়ে বিছানায় বসে একটা সিগারেট জ্বালালেন। আবার টেলিফোনের কথা মনে হল। এখানে কাল ঈদ আমাদের দেশে পরশু ঈদ। মেয়েদের কথা মনে হল। ভাগ্যের অন্বেষণে অনিশ্চয়তার উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বাবাকে ছাড়া কি ভাবে ওরা ঈদ করবে? ওরাতো বড় হয়েছে সবই বুঝে। ওদের মা কিভাবে ওদের নিয়ে বাড়ি ভরা আর সবার সাথে একটা বিরূপ পরিবেশে দিনটা কাটাবে? কেউতো ওদের মানসিক অবস্থা বুঝবে না, বুঝতে চাইবে না। ওদের মনে যে কি ঝড় বইবে তা কি কেউ বোঝার চেষ্টা করবে? এই সমস্ত কিছু মিলিয়ে একটা জটিল রকমের এলোমেলো বিষণ্ণতায় ভরে উঠলো মন। ঘুমের কোন ভাব নেই চোখে মনে। আবার আর একটা সিগারেট বানালেন। বিছানায় হেলান দিয়ে শুয়ে পায়ের উপর লেপটা টেনে নিলেন, ঠাণ্ডা লাগছে একটু। কেন এমন হোল? গণ্ডগোলটা কোথায় খোজার চেষ্টা করছেন। ফেলে আসা জীবন সাগর মন্থন করেও কোন কুল কিনারা পেলেন না। বার বার মনে হচ্ছিল ভাই হয়তো বলেনি কাল লন্ডন যাবার পথে আপনাকে নিয়ে যাব। কিন্তু যাবার পথে সে ঠিকই আসবে না এসে পারবেনা।

সে এখানে থাকবে আর বিদেশে এই প্রথম ভাই একা ঈদ করবে তাই কি হয়? ছোট বেলায় স্কুল থেকে ফেরার পথে মায়ের দেয়া টিফিন বাবদ দুই পয়সা দিয়ে দুইটা কমলা কিনে একটা নিজে খেয়ে আর একটা পকেটে করে নিয়ে আসত। ছোট্ট পকেটের মধ্যে এতো বড় কমলা ধরত না, কোন রকমে ঠেলে একটুখানি ঢুকিয়ে এক হাতে বইয়ের ব্যাগ আর অন্য হাতে কমলা চেপে ধরে রাখতে হত। বাগানে ঘেরা ঝোপের আড়াল থেকে গেট দিয়ে ঢুকেই দেখত ভাই দরজার সামনে ঘরে উঠার সিঁড়িতে বসে আছে। তার হাতে কমলাটা দিতেই কি যে খুশী। মনে হত পূর্ণিমার সমস্ত জ্যোৎস্না যেন তার মুখে এসে পরেছে। আজও মনে পরে সে দৃশ্য, আম্মা আম্মা ভাইজান আছছে বলেই উঠে ভাইজানকে জরিয়ে ধরত। দুই ভাই এক সাথে ঘরে ঢুকত এ যে সেই ভাই।

ভাইয়ের পেটে ব্যথা হয়েছিল। একদিন রাতে খাবার পরেই হটাত করে ভীষণ ব্যথা। কিছুতেই ভালো হচ্ছে না। অনেক ডাক্তার কাছের থেকে দূরের বড় ডাক্তার, না কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। দুতিন দিন হয়ে গেছে যে যা বলছে এটা সেটা সহ মসজিদের ইমামের পানি পড়া। নাহ কিছুই হচ্ছে না। বাবা মা চোখ মুছেন। রাশেদের স্কুল বন্ধ, বাবার অফিস বন্ধ। মায়ের রান্নাবান্না বন্ধ। প্রতিবেশীরা খাবার এনে জোর করে খাইয়ে যাচ্ছে। কত চেষ্টা করেছে ভাইকে জিজ্ঞেস করার জন্যে কেমন লাগছে, পারেনি। পাশে বসে থেকেছে। কেমন যেন একটা গোঙ্গানির মত শব্দ, চোখ বন্ধ করে কেমন যেন ঘোরের মধ্যে রয়েছে, চোখ মেলে তাকায় না। কিছুক্ষণ পরপর যখন দুই হাতে পেট ধরে মুখ চোখ বিকৃত করে যন্ত্রণায় চিৎকার দিয়ে উঠত বুকের ভিতর ধক করে উঠত, মনে হত ইসস কি যে কষ্ট ভাইয়ের। ছোট্ট বুদ্ধিতে কিছু কুলিয়ে উঠতে না পেরে বলে আম্মা আমি কি করলে ওর অসুখ ভালো হবে আমাকে বলে দেন আমি তাই করবো।
না বাবা তুমি পারবে না। তোমার কিছু করার নেই শুধু আল্লাকে ডাকো আল্লাকে বল আমার ভাইকে ভালো করে দাও।
হ্যাঁ, আমি বলছি তো তবুও আল্লা শুনছে না।
ওকথা বলে না বাবা তুমি আল্লাকে বলতে থাকো।

আত্মীয় স্বজনেরা আসছে সবাই। মালেক চাচা হাসপাতালে চাকরি করেন, বাবাকে বললেন কাল সকালে হাসপাতালে নিয়ে আসেন আমি গেটে থাকবো। রাতে পাউরুটি এনে রাখা হয়েছিল সকালে বাবা নামাজ পড়েই মাকে বললেন কাপড়টা বদলে নাও। মা রেডি হয়ে আসতেই তিনি উঠে প্যান্ট পরে বেরিয়ে গেলেন স্কুটার ডাকতে। যাবার সময় বলে গেলেন তুমি ওকে কিছু খাইয়ে দাও। মা রাশেদকে দুধ দিয়ে ভিজিয়ে রুটি খেতে বললেন ভাইকেও একটু খাওয়াবার চেষ্টা করলেন পারলেন না। কিছুক্ষণের মধ্যে স্কুটার নিয়ে এসে বাবা ভাইকে কোলে নিয়ে বের হলেন। মা ঘরে তালা দিয়ে চাবিটা নিয়ে পাশের বারির খালাম্মাকে ডেকে বললেন ভাবি হাসপাতালে যাচ্ছি চাবিটা রাখেন। চাবি দিয়ে স্কুটারে বসলেন। কথামত হাসপাতালের গেটে মালেক চাচা দাড়িয়ে ছিলেন। স্কুটার থামতেই উনি এগিয়ে এলেন।

স্কুটারের ভিতরে বাবার কোল থেকে ভাইকে নামিয়ে কোলে নিয়ে হেটে ভিতরের দিকে এগিয়ে গেলেন। পিছনে বাবা মা। এতো বড় হাসপাতাল কখনো দেখেনি রাশেদ। তার কাছে হাসপাতাল বলতে বাড়ির কাছের ডিসপেনসারি। বিশাল এলাকা জুরে এই হাসপাতাল দেখেই রাশেদ ভয় পেয়ে মার হাত চেপে ধরে হাঁটছিল। মালেক চাচা ভাইকে কোলে নিয়েই আগে আগে হাটছিলেন। পিছনে বাবা। একটা রুমের সামনে এসে দাঁড়ালেন। পিছনে তাকিয়ে মাকে বললেন আপনি রাশেদকে নিয়ে এখানে বসেন আমরা আসছি। বলেই রুমের ভিতরে ঢুকে গেলেন সাথে বাবা। মা রাশেদকে নিয়ে বাইরের একটা বেঞ্চে বসলেন।
আম্মা তোমাকে যেতে দিবে না কেন, আমি যাব না কেন, ভাইকে কি করবে?

অনেকক্ষণ অনেকক্ষণ হয়ে যায় মাঝে মাঝে একজন করে দুই তিনজন ডাক্তার নার্স এসে ঢুকল তারাও বের হয়না ভাইও বের হয়না। ভিতর থেকে কয়েকবার চিৎকারের শব্দ শুনেছে। উৎকণ্ঠায় দুশ্চিন্তায় রাশেদ কেঁদে ফেলল। আমার ভাইকে কি করছে ওরা আসছে না কেন? মার ঠোট শুকনো, চোখ ভেজা। মাঝে মাঝে আঁচল দিয়ে চোখ মুছছেন তবুও মা সান্ত্বনা দেন, এইতো আসবে এখনি আসবে, ডাক্তার দেখছেতো তাই দেরি হচ্ছে।
এতো দেরি হয় কেন?
ভালো করে দেখছেতো তাই সময় লাগছে তুমি চিন্তা করনা আসবে।
তারও বেশ কিছুক্ষণ পরে বাবা বের হয়ে মাকে বললেন ওরা ভর্তি করে রাখতে চায় কি বলবো? চল তোমাকে ভিতরে যেতে বলেছে চল দেখ কি বলে। [এ চলা সমুখ পানে এগিয়েই চলবে]

No comments:

Post a Comment

Thank you very much for your comments.